শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫| সকাল ৬:০৭

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ফরাসি নেতা লে পেনের ৪ বছরের জেল

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ১, ২০২৫ ৩:৩১ অপরাহ্ণ
অর্থ আত্মসাতের মামলায় ফরাসি নেতা লে পেনের ৪ বছরের জেল

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ফরাসি নেতা লে পেনের ৪ বছরের জেল

প্যারিসের একটি আদালতে ফ্রান্সের ডানপন্থী রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) এর প্রভাবশালী নেতা মেরি লে পেনকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার আদালত এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তবে রায়ে একটি স্বস্তির দিকও রয়েছে—লে পেন তার মোট সাজার অর্ধেক সময়, অর্থাৎ দুই বছর, গৃহবন্দী অবস্থায় কাটাতে পারবেন। এই মামলা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগের সঙ্গে জড়িত, যা ২০০৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল।

এই মামলায় শুধু লে পেনই নন, তার দলের আরও বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা এবং আটজন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি)ও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আদালতের রায়ে বাকি আসামিদের জন্য এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি লে পেনের জন্য আরও একটি কঠোর শাস্তি এসেছে—তাকে আগামী পাঁচ বছর নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে নিষিদ珠নিষ্ঠা (বিনা অনুমতিতে) দ্বারা স্বয়ং প্রকাশিত। যিনি মনে করেন যে সকল মানুষের জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ থাকা উচিত। আমি আমার ব্লগে শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে লিখি।

এই রায়ের ফলে লে পেনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে। কারণ, পাঁচ বছরের নির্বাচনী নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি ২০২৭ সালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। লে পেনের সমর্থকদের জন্য এটি একটি অপ্রত্যাশিত এবং হতাশার খবর। তিনি ২০২২ সালে ন্যাশনাল র্যালির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও, জাতীয় পরিষদে তার দলের প্রধান হিসেবে তিনি এখনও সক্রিয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, লে পেন এবং তার সহযোগীরা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের তহবিল থেকে অর্থ ব্যক্তিগত ও দলীয় কাজে ব্যবহার করেছিলেন। আদালত এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শুধু কারাদণ্ডই নয়, দলটির ওপর অর্থনৈতিক শাস্তিও আরোপ করা হয়েছে। ন্যাশনাল র্যালিকে বাজেয়াপ্ত করা অর্থ ফেরত দিতে হবে এবং অতিরিক্ত ২ মিলিয়ন ইউরো, অর্থাৎ প্রায় ২.২ মিলিয়ন ডলার জরিমানা গুনতে হবে।

এই রায়ের পর ফ্রান্সের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে। ন্যাশনাল র্যালির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জর্দান বারদেলা এক্সে একটি পোস্টে এই রায়কে ‘অন্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এটিকে ফরাসি গণতন্ত্রের জন্য ‘মৃত্যুদণ্ডের’ সমতুল্য বলে সমালোচনা করেন। অন্যদিকে, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর অরবানও লে পেনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এক্সে ফরাসি ভাষায় লিখেছেন, ‘আই অ্যাম মেরি’। এটি দেখিয়ে দিচ্ছে যে, ইউরোপের ডানপন্থী নেতাদের মধ্যে লে পেনের প্রভাব এখনও কতটা গভীর।

লে পেন দীর্ঘদিন ধরে ফ্রান্সের রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব। তার বিরোধীরা তাকে ‘অতি ডানপন্থী’ হিসেবে দেখেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসন নীতি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষে ইইউর ভূমিকার কঠোর সমালোচক ছিলেন। তার এই অবস্থান তাকে অনেকের কাছে জনপ্রিয় করলেও, বিরোধীদের কাছে বিতর্কিত ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি