কোরবানির পশু পরিবহনে নৌপথে সতর্কতা ও নির্দেশনা দিল নৌপুলিশ
আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে নৌপথে পশু পরিবহনে সতর্কতা জারি করেছে নৌপুলিশ। এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে নৌপথ ব্যবহার না করাই শ্রেয়। এ ছাড়া পশু পরিবহন, যাত্রী নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষায় কয়েকটি নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
নৌপথে পশু পরিবহনকারীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় যাত্রা করা যাবে না। নৌযান চালকের পরিচয় এবং গন্তব্য ঘাট সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে কোনোভাবে যাত্রা করা ঠিক নয়। যদি কেউ জোর করে কোনো ঘাটে নামাতে চায় বা সন্দেহজনক সংকেত দেয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ নৌ থানা বা কন্ট্রোলরুমে জানাতে বলা হয়েছে। নগদ অর্থ বহনের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট নৌপুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করতে হবে।
নির্দেশনায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, চাঁদাবাজদের কোনো টাকা দেওয়া যাবে না এবং নৌযানের দৃশ্যমান স্থানে গন্তব্য হাটের নামযুক্ত ব্যানার ঝুলিয়ে রাখতে হবে। রাতের বেলায় পশু পরিবহন না করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
হাট ইজারাদারদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, খাজনা বা হাসিলের তালিকা প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে এবং জাল নোট শনাক্তকরণ যন্ত্র রাখতে হবে। নিরাপদ লেনদেনের জন্য মোবাইল বা অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অজ্ঞান পার্টি, ছিনতাইকারী বা প্রতারকদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার তাগিদ দিয়েছে নৌপুলিশ।
যাত্রীদের জন্যও ছিল আলাদা নির্দেশনা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে ভ্রমণ করা, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে না চড়া, সূর্যাস্তের পর স্পিডবোট বা ছোট নৌযান ব্যবহার না করা এবং লাইফ জ্যাকেট ছাড়া স্পিডবোটে না ওঠার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য সন্দেহজনক আচরণ বা ইভটিজিং হলে সঙ্গে সঙ্গে নৌ থানা বা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
নৌযান মালিকদের জন্য দেওয়া হয়েছে কিছু বাধ্যবাধকতা, যেমন অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়া, ওভারলোড না করা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম রাখা এবং ফিটনেসবিহীন বা লাইসেন্সবিহীন নৌযান না চালানো। একইসঙ্গে পশুর বর্জ্য নদী বা তীরবর্তী এলাকায় না ফেলার ও পরিবেশ দূষণ রোধে যথাযথ ব্যবস্থার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো অঞ্চলের নৌপুলিশের মোবাইল নম্বর এবং ৯৯৯ জাতীয় সেবা নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।