ভিটামিন ডি: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও উপকারিতা
সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে শরীর কোলেস্টেরল থেকে ভিটামিন ডি তৈরি করে, তাই একে সানশাইন ভিটামিন বলা হয়। এটি হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখা, অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ এবং হাড় মজবুত রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির কারণ ও প্রভাব
- রোদ এড়িয়ে চললে বা সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
- ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে, যা অস্টিওপরোসিস ও হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ায়।
- ক্লান্তি, মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা ও অনিদ্রার অন্যতম কারণ হতে পারে ভিটামিন ডি-এর অভাব।
ভিটামিন ডি কীভাবে পাবেন
- সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে রোদে থাকা সবচেয়ে কার্যকরী।
- রোদ থেকে পাওয়া ভিটামিন ডি শরীরে বেশি সময় ধরে থাকে।
- ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার: সামুদ্রিক মাছ, কড লিভার অয়েল, গরুর কলিজা, মাশরুম, দুধ, ডিম ইত্যাদি।
অতিরিক্ত ভিটামিন ডি-এর সমস্যা
- শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি থাকলে রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়, যাকে হাইপারক্যালসেমিয়া বলা হয়।
- এটি কিডনি ও হৃদযন্ত্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ভিটামিন ডি-এর ভূমিকা
- ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়িয়ে হাড় শক্তিশালী করে।
- কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন নিয়ন্ত্রণ করে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি, টাইমস অব ইন্ডিয়া
মন্তব্য করুন