বিশ্ব পরিবেশ দিবসে গুরুত্ব পাচ্ছে প্লাস্টিক দূষণ রোধ
প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে এ বিশেষ দিনটি, যার মূল প্রতিপাদ্য— “প্লাস্টিক দূষণ আর নয়” এবং স্লোগান— “প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়।” এবারের এই আহ্বান বিশ্ববাসীকে পরিবেশ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে তাগিদ দিচ্ছে।
চলতি বছরে দিবসটির আয়োজক দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানে আন্তর্জাতিক কর্মসূচির মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি ও প্রতিরোধে বৈশ্বিক প্রয়াস চলমান রয়েছে। শিল্পবিপ্লব, নগরায়ণ এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে গত কয়েক দশকে পরিবেশের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো প্লাস্টিক দূষণ। এটি এখন একটি বৈশ্বিক সংকটে রূপ নিয়েছে।
জাতিসংঘ জানায়, এ বছর প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে—সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যবহার হ্রাস, এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সংস্কার। ২০২২ সালে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি বৈশ্বিক চুক্তির খসড়া তৈরি করা হয়েছিল, যার বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা এবার আরও জোরালোভাবে সামনে এসেছে।
বাংলাদেশেও দিবসটি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হচ্ছে। সরকারি ছুটির কারণে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি হবে ২৫ জুন। সেদিন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয়ভাবে আয়োজন করা হবে র্যালি, বৃক্ষরোপণ, আলোচনা সভা, পরিবেশ মেলা ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান। প্রধান উপদেষ্টা বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও মাসব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অবদান রাখার জন্য দেওয়া হবে জাতীয় পরিবেশ পদক ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পুরস্কার।
বর্তমানে প্লাস্টিক দূষণ বৈশ্বিক পরিবেশের অন্যতম ভয়াবহ হুমকি হিসেবে বিবেচিত। এ সমস্যা মোকাবিলায় জাতিসংঘের পরিবেশ অ্যাসেম্বলি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে, যার লক্ষ্য—প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনার স্থাপনা গড়ে তোলা। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের এই আহ্বান তাই কেবল একটি প্রতীকী আয়োজন নয়, বরং পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জরুরি ডাক।