ইরিত্রিয়ার সাথে যুদ্ধ চায় না ইথিওপিয়া, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, তার দেশ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে কোনো যুদ্ধ চায় না। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, ইথিওপিয়া শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করতে চায়।
ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে জটিল এবং সংঘাতপূর্ণ। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যা ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে উভয়পক্ষের হাজার হাজার সৈন্য হতাহত হয় এবং বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। যুদ্ধের পর দ্য হেগে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক কমিশনের রায় অনুযায়ী, ইরিত্রিয়া আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছিল এবং ইথিওপিয়া আক্রমণের মধ্য দিয়ে যুদ্ধটি আরম্ভ করেছিল। যুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার পর জাতিসংঘ কর্তৃক বাদমেতে প্রতিষ্ঠিত ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া সীমান্ত কমিশন রায় দেয় যে, বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটি ইরিত্রিয়ার। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাদমে শহরসহ এর নিকটবর্তী অঞ্চল ইথিওপিয়ার দখলে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন যে, ইথিওপিয়া ইরিত্রিয়ার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সহযোগিতা চায়। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের জনগণের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এজন্য আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক অপরিহার্য।”
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইথিওপিয়ার এই শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে। জাতিসংঘ, আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের এই শান্তিপূর্ণ অবস্থান ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আশা করা যায়, উভয় দেশ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে তাদের জনগণের উন্নয়নে মনোনিবেশ করবে।