রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫| রাত ৮:৪৫

থার্টি ফাস্ট নাইটে আতশবাজি, ফানুস এবং পটকার মৃত্যু ফাঁদ

প্রতিবেদক
staffreporter
ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪ ৪:৩৮ অপরাহ্ণ
থার্টি ফাস্ট নাইটে আতশবাজি, ফানুস এবং পটকার মৃত্যু ফাঁদ

থার্টি ফাস্ট নাইটে আতশবাজি, ফানুস এবং পটকার মৃত্যু ফাঁদ

বছরের শেষ দিন অর্থাৎ থার্টি ফাস্ট নাইটে পুরোনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে দেশে নানা আয়োজন করা হয়। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাঙালিও এবার এ উৎসবে অংশগ্রহণ করছে। তবে, এই উদযাপনের মাঝে আতশবাজি, পটকা ও ফানুসের ব্যবহার যেমন আনন্দ বাড়ায়, তেমনি এটি মৃত্যুর মিছিলে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি করছে।

ফানুসের আগুনে ঘরবাড়ি এবং দোকান পুড়ছে, আর শুধুমাত্র ২০২৩ সালের প্রথম দিকে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর কারণে প্রায় ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে জানানো হয় যে, ফানুসের আগুনের কারণে গত বছরের শুরুতেই নতুন চালু হওয়া মেট্রোরেলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে ট্রেন চলাচল দুই ঘণ্টা বিলম্বিত হয়।

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রতি বছরই আতশবাজি ও ফানুসের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, যেখানে মোট ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক টাকায় পৌঁছেছে। তাছাড়া, ২০২1 সালের প্রথম প্রহরে এক শিশুর মৃত্যু হয় আতশবাজির উচ্চ শব্দে।

এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) প্রতিবছরই থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে আতশবাজি, ফানুস ও পটকা ওড়ানো নিষিদ্ধ করে, তবে এই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মানুষ তা মানছে না। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের উচিত, অন্যদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকা।

ফানুসের ইতিহাসও বেদনাদায়ক। এটি চীনা শব্দের অনুবাদ হলেও বৌদ্ধ ধর্মের একটি ধর্মীয় আচার হিসেবে এর উদ্ভব। তবে বর্তমানে আনন্দ উদযাপনের অংশ হিসেবে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা পরিণতি হতে পারে দুর্ঘটনা এবং ক্ষতির।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ