জাতীয় ঐকমত্য গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আমাকে শিহরিত করে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসা তাঁর জন্য সবচেয়ে আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। এই সংলাপ তাঁকে শিহরিত করে, কারণ এখানেই দেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হচ্ছে এবং তিনি নিজেকে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যুক্ত করতে পেরেছেন।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এই সংলাপে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ মোট ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি যত মিটিং করি, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই আপনাদের সঙ্গে এভাবে বসার সুযোগ পেয়ে। কারণ এখানে সবাই মিলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রচনা করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “শুরুতে আমার মনে হয়েছিল, অনেকেই এ আলোচনায় আগ্রহ দেখাবেন না, কেউ পাশ কাটিয়ে যাবেন বা একে গুরুত্ব দেবেন না। কিন্তু আমি অত্যন্ত আশ্চর্য হয়েছি এবং আনন্দিত হয়েছি, কারণ আপনারা খুব আন্তরিকভাবে অংশ নিয়েছেন, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন এবং আমাদের সঙ্গেও যুক্ত থেকে খোলামেলা মত বিনিময় করেছেন।”
আলোচনার প্রাণবন্ত পরিবেশের প্রশংসা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা সবাই আজ এখানে দেশ ও জাতির কল্যাণে একত্রিত হয়েছি। আমি আশাবাদী, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছে আমরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুত করতে পারব।”
তিনি জানান, সরকার চায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এনে সেই ঐক্যমতের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করা হোক। এই প্রক্রিয়ায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই। সংলাপে রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য তিনি গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন।