বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআইএ)। এই সংগঠনের লক্ষ্য সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের অগ্রগতি ও বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত প্রবণতার সঙ্গে সারিবদ্ধ করা। সংগঠনের প্রথম নির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের ফলাফলে ২০২৪-২০২৭ মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন নিউরাল সেমিকন্ডাক্টর লিমিটেড ও ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্স সলিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ই চৌধুরী শামীম।
এম এ জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের অগ্রগতি ও বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত প্রবণতার সঙ্গে সারিবদ্ধ করার ক্ষেত্রে আমরা কাজ করবো। আশা করি এ ক্ষেত্রে আমাদের সংগঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
এম ই চৌধুরী শামীম বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতা ও নিউইয়র্ক আইবিএম করপোরেশনে সেমি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটের বিভিন্ন শাখায় ১০ বছরের দক্ষতা অ্যাসোসিয়েশন পরিচালনায় সহায়ক হবে।’
নির্বাচিত সদস্যরা হলেন—ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রশাসন) ড. মিজানুর মোহাম্মদ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন প্রাইভেট লিমিটেড; ভাইস প্রেসিডেন্ট (অর্থ) মোজাহেদুল হক আবুল হাসানাত, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার, ডায়নামিক সলিউশন ইনোভেটরস। পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আলিয়া শাফকাত, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তাহো প্রাইভেট লিমিটেড; মোহাম্মদ আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মেট্রো সায়েন্টিফিক; মুনির আহমেদ, পরিচালক, আইটেস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড; কামরুল আহসান দেওয়ানজী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বালু টেকনোলজিস লিমিটেড ও আশিকুর রহমান তানিম, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, থিঙ্ক গ্লোবাল লিমিটেড।
সেমিকন্ডাক্টর বা মাইক্রোচিপ উৎপাদন খাত বিশ্ব ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি খাতে একটি দ্রুতবর্ধনশীল শিল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ৬৩০ বিলিয়ন ডলারের বাজার, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন ও অন্যান্য সহযোগী ব্যবসা থেকে ৯ মিলিয়ন ডলারের আয় রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই রাজস্ব ১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং ১০ হাজার কর্মী নিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই নতুন সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা দেশের প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতিতে সহায়ক হবে।