দামেস্কে ইসরায়েলের হামলা, ড্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষার প্রতিশ্রুতি নেতানিয়াহুর
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে একটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২ মে) সকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট বার্তা দেওয়া যে ইসরায়েল দক্ষিণ দামেস্কে কোনো বাহিনীকে অবস্থান করতে দেবে না এবং ড্রুজ সম্প্রদায়ের ওপর হুমকি সহ্য করবে না।
এই হামলা ছিল গত দুই দিনের মধ্যে সিরিয়ায় ইসরায়েলের দ্বিতীয় আক্রমণ। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, সিরিয়ার ড্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। ড্রুজরা একটি সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুসারী, যাদের শিকড় ইসলামের একটি শাখায় এবং যারা সিরিয়া, লেবানন ও ইসরায়েলে বসবাস করে।
সম্প্রতি সিরিয়ায় ড্রুজ ও সুন্নি বন্দুকধারীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শুরু হয়, যার সূত্রপাত একটি অডিও রেকর্ডিংকে ঘিরে—যেখানে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) কে অবমাননার অভিযোগ আনা হয় এবং সন্দেহ করা হয়, এটি একজন ড্রুজ ব্যক্তি তৈরি করেছেন। এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার দামেস্কের উপকণ্ঠে ড্রুজ অধ্যুষিত জারামানা এলাকায় সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নিহত হন। সহিংসতা পরে সাহনাইয়া শহরেও ছড়িয়ে পড়ে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, হামলার লক্ষ্য ছিল দামেস্কে প্রেসিডেন্ট আহমেদ হুসেইন আল-শারার প্রাসাদের নিকটবর্তী এলাকা। তবে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যবস্তুর নাম প্রকাশ করা হয়নি। সিরিয়ার পক্ষ থেকেও এ হামলা নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
রয়টার্স বলছে, এই হামলা ইঙ্গিত দেয় যে, বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে আসা সুন্নি ইসলামপন্থিদের প্রতি ইসরায়েলের গভীর অবিশ্বাস রয়েছে। ফলে সদ্য ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারারের জন্য দেশকে একত্রিত করে স্থিতিশীলতা ফেরানো আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।