কুয়েতে বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমিক ভিসা প্রক্রিয়া শিথিল, দূতাবাসের প্রচেষ্টায় সফলতা
বাংলাদেশি প্রবাসীদের কাজের দক্ষতা ও সুনামের কারণে এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় কুয়েত সরকার দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভিসা প্রক্রিয়া শিথিল করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে নতুনভাবে আরও দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক পাঠানোর পথ সহজ হয়েছে।
২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ইরানসহ কয়েকটি দেশের জন্য শ্রমিক ভিসায় কড়াকড়ি আরোপ করে কুয়েত সরকার, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ তুলে। তবে বর্তমানে দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় প্রায় ৩ লক্ষ বাংলাদেশি প্রবাসী কাজ করছেন, যারা নিজেদের দক্ষতা দিয়ে স্থানীয়ভাবে সুনাম অর্জন করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ দূতাবাসে কুয়েতে কর্মরত জাতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন কুয়েতস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন। তিনি কুয়েত প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়ে কথা বলেন।
মতবিনিময়ে প্রবাসী সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, ভিসার ধরন না জানিয়ে বা তথ্য গোপন করে উচ্চমূল্যে ভিসা বিক্রি করা হচ্ছে। তারা এই ভিসা ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান এবং কম খরচে সরকারিভাবে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক আনার প্রক্রিয়া জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কুয়েত আসার আগে প্রত্যেককে জেনে বুঝে আসতে হবে—বাসার কাজে, না কি কোম্পানিতে কাজ করার জন্য ভিসা পেয়েছেন। ভিসার ধরন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। তিনি আরও জানান, দূতাবাসের মাধ্যমে সত্যায়িত ভিসায় আসার পর কেউ প্রতারণার শিকার হলে, তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি সহায়তা দিতে প্রস্তুত দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ অন্যান্য সমস্যা নিয়ে সরাসরি দূতাবাসের নির্দিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করে সেবা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মনিরুজ্জামান এবং মিনিস্টার (শ্রম) আবুল হোসেনসহ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।