সীমান্ত উত্তেজনার মাঝেই আফ্রিদির চা-পানের নিমন্ত্রণ, পাল্টা টানাপোড়েনে ধাওয়ান
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। জম্বু-কাশ্মির সীমান্তে দু’দেশের সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এখন পর্যন্ত বড় কোনো সংঘর্ষ না হলেও, গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে একাধিকবার। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই দুই দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ, যার কেন্দ্রে রয়েছেন দুই সাবেক ক্রিকেটার– শিখর ধাওয়ান ও শহিদ আফ্রিদি।
সম্প্রতি স্থানীয় এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে শহিদ আফ্রিদি কাশ্মির প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভারতে একটা বাজি ফাটলেও এর দায় আসে পাকিস্তানের ওপর। আপনাদের ৮ লাখ সেনা কাশ্মিরে মোতায়েন, তবুও এমন ঘটনা ঘটে– এর মানে আপনারা পুরোপুরি অকার্যকর।’ আফ্রিদির এই মন্তব্য ভারতের গণমাধ্যমে ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়।
এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সাবেক ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ানও। তিনি এক্স-হ্যান্ডেলে আফ্রিদিকে স্মরণ করিয়ে দেন কারগিল যুদ্ধের কথা। তিনি লেখেন, ‘আমরা তোমাদের কারগিলে হারিয়েছি, আর কত নিচে গেলে থামবে তোমরা? মন্তব্য করার চেয়ে নিজ দেশের উন্নতির দিকে মনোযোগ দাও।’
ধাওয়ানের টুইটের পাল্টা জবাবে শহিদ আফ্রিদি এক রকম কটাক্ষের সুরেই চা পানের নিমন্ত্রণ জানান। তিনি লেখেন, ‘হারা-জেতা বাদ দাও। এসো শিখর, তোমাকে খানিক চা পান করানোর সুযোগ দাও।’ তিনি সেই টুইটে ২০১৯ সালের সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টানেন, যেখানে পাকিস্তানের আকাশসীমায় আটক হওয়া ভারতীয় বিমানচালক অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের চা-কে ‘চমৎকার’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এবার আফ্রিদি সামরিক পোশাকে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে সেই পুরনো ঘটনাকে খোঁচা হিসেবে ব্যবহার করেন।
এই টুইটের পর শিখর ধাওয়ানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দুই দেশের এই ক্রিকেট-ভিত্তিক বাকবিতণ্ডা সীমান্ত উত্তেজনাকে ঘিরে রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আপনি কী মনে করেন, এই ধরনের খোঁচামূলক মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে?