শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫| সন্ধ্যা ৭:২৫

নোবেলজয়ী ড. ইউনূস টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৫ সালের ‘১০০ প্রভাবশালী’ ব্যক্তির তালিকায়

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ১৭, ২০২৫ ৮:৪৯ অপরাহ্ণ
নোবেলজয়ী ড. ইউনূস টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৫ সালের ‘১০০ প্রভাবশালী’ ব্যক্তির তালিকায়

নোবেলজয়ী ড. ইউনূস টাইম ম্যাগাজিনের ২০২৫ সালের ‘১০০ প্রভাবশালী’ ব্যক্তির তালিকায়

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক খ্যাতনামা সংবাদমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিন। এবারের ২০২৫ সালের তালিকায় বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশের গর্ব, নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সমাজ সংস্কারক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে ‘লিডার্স’ ক্যাটাগরিতে।

এ তালিকায় আরও রয়েছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির বড় বড় নাম—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া সেইনবোম এবং বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। কিন্তু এই heavyweight নামগুলোর ভিড়েও আলাদা ভাবে আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের এই মানুষটি।

টাইম ম্যাগাজিনে ড. ইউনূসের এই সম্মাননা প্রসঙ্গে লিখেছেন স্বয়ং হিলারি ক্লিনটন—যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি এবং প্রভাবশালী রাজনীতিক। তিনি বলেন,
“বাংলাদেশে ছাত্রদের নেতৃত্বে স্বৈরশাসকের পতনের পর, যখন জাতি এক অচেনা ভবিষ্যতের মুখোমুখি, তখন একজন চেনা মুখ দৃঢ় কণ্ঠে সামনে এসে দাঁড়ান। তিনি হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস—নোবেল বিজয়ী, যিনি আবারও দেশকে গণতন্ত্রের পথে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

হিলারি ক্লিনটন স্মরণ করেন, কিভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ড. ইউনূস দশকের পর দশক ধরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রান্তিক মানুষদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন করেছেন। ক্ষুদ্রঋণের এই উদ্যোগ কতটা সফল ছিল, তার প্রমাণ—এই কর্মসূচির ৯৭ শতাংশ সুবিধাভোগীই নারী, যাঁরা নিজেরা ব্যবসা শুরু করেছেন, পরিবারকে টিকিয়ে রেখেছেন এবং সমাজে নিজের অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছেন।

ড. ইউনূসের সঙ্গে নিজের প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিচারণও করেছেন হিলারি। তিনি বলেন,
“আমি ইউনূস সাহেবের সঙ্গে প্রথম দেখা করি তখন তিনি আরকানসাসে এসেছিলেন, আমাদের (তৎকালীন গভর্নর বিল ক্লিনটন ও হিলারি ক্লিনটন) সহায়তায় ক্ষুদ্রঋণ ভিত্তিক একটি প্রোগ্রাম চালু করতে। তারপর থেকে আমি বিশ্বের যেখানেই গিয়েছি, সেখানেই তার কাজের অসাধারণ প্রভাব দেখতে পেয়েছি।”

তিনি আরও বলেন,
“আজ আবার তিনি তার দেশের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। নিপীড়নের ছায়া থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন, জবাবদিহিতা দাবি করছেন, আর গড়ে তুলছেন এক ন্যায়ভিত্তিক ও মুক্ত সমাজ।”

টাইম ম্যাগাজিনের মতো প্রভাবশালী একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে এমন স্বীকৃতি পাওয়া নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। বিশ্বজুড়ে যখন নেতৃত্বের অভাব অনুভূত হয়, তখন ড. ইউনূসের মতো একজন নেতার উঠে আসা শুধু বাংলাদেশ নয়—সমগ্র মানবতার জন্যই এক আশার আলো।

সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি