মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫| সকাল ৭:০৭

ঢাবিতে ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের মশাল মিছিল

প্রতিবেদক
staffreporter
মার্চ ১০, ২০২৫ ৩:১৫ অপরাহ্ণ
ঢাবিতে ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের মশাল মিছিল

ঢাবিতে ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের মশাল মিছিল

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিলের আয়োজন করেন, যা ক্যাম্পাসজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

রবিবার রাতে ঢাবির বিভিন্ন হলের কয়েকশ শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্যের সামনে জমায়েত হন। সেখানে থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, আসিয়া আসিয়া’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘হ্যাং দ্য রেপিস্ট’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন, যা তাদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের প্রতিফলন বহন করে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন।

মশাল মিছিলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিম্নলিখিত দাবিগুলো তুলে ধরেন:

দ্রুত বিচার: ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনাগুলোর দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।

সর্বোচ্চ শাস্তি: দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ কমে আসে।

সচেতনতা বৃদ্ধি: সমাজে নারী অধিকার ও নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

ঢাবির পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরাও একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন সমাজের বিভিন্ন স্তরে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তাদের সাহসিকতা ও উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই মিছিলের ছবি ও ভিডিও ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেছে।

এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এই মিছিল সম্পর্কে সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশা করছেন সবাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই মশাল মিছিল দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি প্রমাণ করে যে, তরুণ প্রজন্ম সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে একত্রিত হতে প্রস্তুত। এই ধরনের উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট: বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ গত বছরের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এক বছর পূর্ণ করতে চললেও দেশের অর্থনীতি এখনও স্থবিরতার মধ্যেই রয়েছে। মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থান সংকট, রফতানি হ্রাস ও রাজস্ব ঘাটতির মতো বহু সমস্যা সামনে রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বাজেট প্রস্তুতের আগে অর্থ মন্ত্রণালয় যে আটটি প্রধান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা, সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন এবং এলডিসি উত্তরণে প্রস্তুতি। অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনাও থাকছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে কেবল সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ না থাকায় দেশের শিল্প খাতেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানিতে এলসি খোলার হার ৩০ শতাংশ কমেছে। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ নেমে এসেছে ৪৮.৪১ শতাংশে এবং দেশে বর্তমানে বেকার সংখ্যা ২৭ লাখ ৩০ হাজার, যা এক বছরে বেড়েছে সোয়া তিন লাখ। বিদেশে কর্মী পাঠানোর হারও ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে আশার কথা হলো—রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে তা রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছেছে। এদিকে বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এনবিআর মাত্র ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে, ফলে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরকার নতুন খাতে কর আরোপ এবং কর ব্যবস্থার অটোমেশন চালুর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সরকারি ঋণের পরিমাণ এরইমধ্যে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেট বাস্তবায়নে আরও ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে সুদ পরিশোধেই ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তবে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে বাজেট ঘাটতি সীমিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চাভিলাষী এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা। বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের মতে, বাজেটের আকার আরও ছোট ও বাস্তবসম্মত হলে তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হতো। সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, বাজেটের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বৈদেশিক বাণিজ্যেও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, ভারতের পণ্যে নিষেধাজ্ঞা এবং বৈশ্বিক বাজারের অস্থিরতায় রফতানি কমেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মতো সীমান্ত বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলোর কার্যকারিতা কমে গেছে। এছাড়া, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং চাঁদাবাজি ও সাইবার হুমকির কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমন অবস্থায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিনিয়োগ সুরক্ষায় ‘ফাস্ট-ট্র্যাক অভিযোগ নিষ্পত্তি’ এবং ‘ই-কমার্স নিরাপত্তা ইউনিট’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। এই সব বাস্তবতায় সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটি বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ তৈরি ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন, যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে গতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট: বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ

আদিবাসীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, বিজয় দেবেরাকোন্ডার বিরুদ্ধে মামলা

আদিবাসীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, বিজয় দেবেরাকোন্ডার বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইম্পোরিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনল্যান্ড দরকার, ন্যাটো প্রধানকে ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনল্যান্ড দরকার, ন্যাটো প্রধানকে ট্রাম্প

ইতিহাসের এই দিনে (৩০ জুন, ২০২৫)

ইতিহাসের এই দিনে (৯ জুন, ২০২৫)

১২ দেশ থেকে ১৩১ পাকিস্তানিকে বিতাড়িত

১২ দেশ থেকে ১৩১ পাকিস্তানিকে বিতাড়িত

ঢাকায় জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে তলব : ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কড়া প্রতিবাদ

ঢাকায় জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে তলব : ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কড়া প্রতিবাদ

আজকের খেলা: ৩০ জুন, ২০২৫

আজকের খেলা: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: সুপার সিক্সে বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: সুপার সিক্সে বাংলাদেশ