যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় হামাসের হাতে বন্দি ইসরাইলি জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই এ দাবির কথা উল্লেখ করে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জিম্মিদের মুক্তি না দিলে হামাসকে চরম মূল্য দিতে হবে।
নিজস্ব সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, “আগামী ২০ জানুয়ারির আগে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে মধ্যপ্রাচ্যে চরম মূল্য দিতে হবে। যারা মানবতাবিরোধী এই অপরাধগুলো সংঘটিত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনই বন্দিদের মুক্তি দাও!”
ট্রাম্প এই বক্তব্যে মার্কিন সেনাবাহিনীকে সরাসরি যুদ্ধের আদেশ দিচ্ছেন কি না, তা পরিষ্কার না হলেও তিনি ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিষয়টি জোর দিয়ে বলেছেন। বিগত ১৫ মাসের সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়েছে।
জো বাইডেন প্রশাসনের সময়ে কয়েক দফা যুদ্ধবিরতির চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসা আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই ট্রাম্প বলে আসছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ হতো না। নতুন প্রশাসনের জন্য তিনি এমন ব্যক্তিদের মনোনীত করেছেন, যারা প্রবল ইসরাইলঘনিষ্ঠ এবং ফিলিস্তিন-বিরোধী হিসেবে পরিচিত।
৫ নভেম্বর নির্বাচনের পর গাজা যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প যে সব মন্তব্য করেছেন, তার মধ্যে এবার সবচেয়ে কঠোর ভাষা ব্যবহার করেছেন। তবে তার এই হুঁশিয়ারির জবাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। হামাস শুরু থেকেই বলছে, জিম্মি মুক্তির জন্য গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে এবং ইসরাইলি সেনাদের গাজা ছাড়তে হবে।