যুদ্ধবিরতির পরদিনই লেবাননে ইসরায়েলের হামলা।
যুদ্ধবিরতির পরদিনই লেবাননে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর দক্ষিণ লেবাননের ছয়টি এলাকায় এই হামলা হয়। খবর রয়টার্সের।
এ বিষয়ে ইসরায়েলও স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। তবে তাদের দাবি, ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলা করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ, যুদ্ধবিরতির মধ্যে দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তিরা জড়ো হচ্ছিলেন। তাদের উপস্থিতি দেখে আগেভাগেই হামলা চালায় নেতানিয়াহুর বাহিনী। ইসরায়েল দাবি করেছে, এই হামলার জন্য তারা নয় বরং যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে লেবাননের সংগঠন হিজবুল্লাহ।
এর আগে, বুধবার থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় শান্তির আশাবাদ প্রকাশ করেছিলেন।
যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা সরিয়ে নিতে ইসরায়েলি বাহিনী ৬০ দিন সময় পাবে। এই সময়ের মধ্যে কোনো পক্ষই একে অপরের ওপর হামলা চালাতে পারবে না। কিন্তু বৃহস্পতিবারই লেবাননে অবস্থানরত ইসরায়েলী দখলদার বাহিনী হামলা চালায়।
যুদ্ধবিরতিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন দেশটির বাসিন্দারা এবং তারা ধীরে ধীরে ঘরে ফিরতে শুরু করেছিলেন। তবে নতুন এই হামলার ফলে তাদের মধ্যে আবারও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার ব্যাপারে সতর্ক করেছে। তবে এ সতর্কতা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ লেবাননে ফিরে যাচ্ছে।
লেবাননের স্পিকার নাবিহ বেরি বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি আপনাদের নিজ নিজ ঘরে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছি।”
টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, “ধ্বংসস্তূপের ওপর বসবাস করতে হলেও আপনাদের নিজেদের ভূমিতে ফিরে আসা উচিত।”