সুন্দরবনে শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী, মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিরিজ ‘ফেউ’
জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী আবারও ফিরেছেন অভিনয়ের মঞ্চে। তার অভিনীত নতুন সিরিজ ‘ফেউ’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ২৯ জানুয়ারি। সম্প্রতি প্রকাশিত টিজারে এই সিরিজটি নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। বিশেষ করে টিজারের সংলাপ—‘ও সুনীল দা, ফেউ কারা?’ এবং উত্তরে, ‘এজেন্ট। সরকারি গোয়েন্দা–গে এজেন্ট কয়,’ দর্শকদের মনে কৌতূহল জাগিয়েছে।
সিরিজটিতে চঞ্চল অভিনয় করেছেন সুনীল, একজন আলোকচিত্রীর চরিত্রে। এটি ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট নির্ভর একটি গল্প। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি শেয়ার করেছেন সিরিজটির কাজ এবং শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা। ‘ফেউ’-এর শ্যুটিং হয়েছে সুন্দরবনে, যেখানে শীতের তীব্রতা এবং প্রাকৃতিক বিপদ একসঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়েছে।
চঞ্চল বলেন, “আমরা মাস খানেক ধরে সুন্দরবনে শ্যুটিং করেছি। এর মধ্যে আমি ২০ দিনের বেশি সময় সেখানে ছিলাম। রাতে লঞ্চে ঘুমানোর সময় প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগত। শীতের কাপড় পরেও ঠান্ডা এড়ানো যেত না। তবে সবচেয়ে ভয় পেতাম কুমির দেখে। লঞ্চের নোঙরের কাছে একটি কুমির প্রায়ই ঘুরে বেড়াত। সকালে জানালা দিয়ে তাকালেই দেখা যেত কুমির আর বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। ছোট ছোট ট্রলারে চেপে আমরা শ্যুটিং স্পটে যেতাম, এমনকি রাতে শ্যুটিং করাও বেশ কঠিন ছিল।”
‘ফেউ’-এর প্রেক্ষাপট ও চরিত্র
সিরিজটি নির্মিত হয়েছে ১৯৭৯ সালের পশ্চিমবঙ্গের মরিচঝাঁপির গণহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে, যদিও এটি একটি ফিকশনাল কাহিনি। এতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও তারিক আনাম খান, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তানভীর অপূর্ব, হোসেন জীবন, তাহমিনা অথৈ, রিজভি রিজু, ফাদার জোয়া, বাবলু বোস এবং এ কে আজাদ সেতু।
গল্পের রচনা করেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান ও রোমেল রহমান এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান ও সিদ্দিক আহমেদ। সিরিজে ইতিহাসের সঙ্গে মিলিয়ে উঠে এসেছে চরিত্রগুলোর ভিন্ন ভিন্ন গল্প, যা দর্শকদের জন্য গভীর ভাবনার জন্ম দেবে।
চঞ্চলের নতুন এই সিরিজ নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা তুঙ্গে। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘ফেউ’ শুধু বিনোদন নয়, ইতিহাস ও সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়েও নতুন আলোচনার জন্ম দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।