বৃহস্পতিবার, ৫ই জুন, ২০২৫| বিকাল ৩:৩০

আপিল খারিজ, তারেক রহমানের চার মামলা বাতিলের রায় বহাল

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ৫, ২০২৫ ১:৫১ অপরাহ্ণ
আপিল খারিজ, তারেক রহমানের চার মামলা বাতিলের রায় বহাল

আপিল খারিজ, তারেক রহমানের চার মামলা বাতিলের রায় বহাল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা চারটি মামলা বাতিলের বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

রোববার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। তিনি বলেন, “হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা চারটি লিভ টু আপিল শুনানি শেষে আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছেন।”

এর আগে, গত বছরের ২৩ অক্টোবর হাইকোর্ট তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান ও ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা চারটি চাঁদাবাজি মামলার কার্যক্রম বাতিলের রায় দেন। ২০০৭ সালে গুলশান থানায় দায়ের করা তিনটি এবং ধানমন্ডি থানায় করা একটি মামলা নিয়ে এই রায় দেওয়া হয়।

২০০৭ সালের ২৭ মার্চ রেজা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। একই বছরের ৪ মে সৈয়দ আবু শাহেদ সোহেল একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। এছাড়া, ৮ মার্চ ঠিকাদার আমীন আহমেদ ভূঁইয়া দ্রুত বিচার আইনে গুলশান থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ধানমন্ডি থানায় মীর জাহির হোসেনের করা মামলাটি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে।

তারেক রহমান এই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানির পর রুল জারি করা হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায়ে মামলাগুলো বাতিল ঘোষণা করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করলেও তা খারিজ হওয়ায় হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকল।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
আজকের নামাজের সময়সূচি (৪ জুন, ২০২৫)

আজকের নামাজের সময়সূচি (২৩ মার্চ, ২০২৫)

ডিমের কুসুম: পুষ্টির শক্তিশালী উৎস না অতিরিক্ত চর্বি?

ডিমের কুসুম: পুষ্টির শক্তিশালী উৎস না অতিরিক্ত চর্বি?

বেলুচিস্তানে আইইডি বিস্ফোরণে পাকিস্তানি সাত সৈন্য নিহত, ভারতীয় প্রক্সি গোষ্ঠীকে দায়ারোপ সেনাবাহিনীর

বেলুচিস্তানে আইইডি বিস্ফোরণে পাকিস্তানি সাত সৈন্য নিহত, ভারতীয় প্রক্সি গোষ্ঠীকে দায়ারোপ সেনাবাহিনীর

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ইসরায়েল ও তুরস্কের বিপরীত অবস্থান, সংযমের আহ্বান বিশ্বজুড়ে

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ইসরায়েল ও তুরস্কের বিপরীত অবস্থান, সংযমের আহ্বান বিশ্বজুড়ে

ফুসফুস ভালো ও পরিষ্কার রাখার ১০টি প্রাকৃতিক উপায়

ফুসফুস ভালো ও পরিষ্কার রাখার ১০টি প্রাকৃতিক উপায়

রুয়েট শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ, প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার

রূপপুর প্রকল্প থেকে ১৫ প্রকৌশলীকে অব্যাহতির ঘটনায় আইইবির নিন্দা ও পুনর্বহালের দাবি

রূপপুর প্রকল্প থেকে ১৫ প্রকৌশলীকে অব্যাহতির ঘটনায় আইইবির নিন্দা ও পুনর্বহালের দাবি

পদত্যাগ করছেন না প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, জানালেন বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

পদত্যাগ করছেন না প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, জানালেন বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

আজকের খেলা: ৪ জুন, ২০২৫

আজকের খেলা: ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট: বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ গত বছরের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এক বছর পূর্ণ করতে চললেও দেশের অর্থনীতি এখনও স্থবিরতার মধ্যেই রয়েছে। মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থান সংকট, রফতানি হ্রাস ও রাজস্ব ঘাটতির মতো বহু সমস্যা সামনে রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বাজেট প্রস্তুতের আগে অর্থ মন্ত্রণালয় যে আটটি প্রধান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা, সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন এবং এলডিসি উত্তরণে প্রস্তুতি। অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনাও থাকছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে কেবল সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ না থাকায় দেশের শিল্প খাতেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানিতে এলসি খোলার হার ৩০ শতাংশ কমেছে। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ নেমে এসেছে ৪৮.৪১ শতাংশে এবং দেশে বর্তমানে বেকার সংখ্যা ২৭ লাখ ৩০ হাজার, যা এক বছরে বেড়েছে সোয়া তিন লাখ। বিদেশে কর্মী পাঠানোর হারও ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে আশার কথা হলো—রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে তা রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছেছে। এদিকে বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এনবিআর মাত্র ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে, ফলে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরকার নতুন খাতে কর আরোপ এবং কর ব্যবস্থার অটোমেশন চালুর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সরকারি ঋণের পরিমাণ এরইমধ্যে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেট বাস্তবায়নে আরও ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে সুদ পরিশোধেই ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তবে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে বাজেট ঘাটতি সীমিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চাভিলাষী এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা। বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের মতে, বাজেটের আকার আরও ছোট ও বাস্তবসম্মত হলে তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হতো। সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, বাজেটের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বৈদেশিক বাণিজ্যেও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, ভারতের পণ্যে নিষেধাজ্ঞা এবং বৈশ্বিক বাজারের অস্থিরতায় রফতানি কমেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মতো সীমান্ত বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলোর কার্যকারিতা কমে গেছে। এছাড়া, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং চাঁদাবাজি ও সাইবার হুমকির কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমন অবস্থায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিনিয়োগ সুরক্ষায় ‘ফাস্ট-ট্র্যাক অভিযোগ নিষ্পত্তি’ এবং ‘ই-কমার্স নিরাপত্তা ইউনিট’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। এই সব বাস্তবতায় সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটি বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ তৈরি ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন, যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে গতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

পরিবর্তিত সময়সূচিতে ৪৬তম বিসিএস লিখিত ও ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে