রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫| রাত ১১:০২

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে দেশব্যাপী এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শুরু

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ৩, ২০২৫ ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ
টিকাদান কর্মসূচি

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে দেশব্যাপী এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শুরু

বাংলাদেশে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের জন্য হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দ্যা ভ্যাকসিন এলায়েন্স (গ্যাভি), ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সহায়তায় এই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যার মাধ্যমে ৬২ লাখেরও বেশি মেয়েকে টিকা প্রদান করা হবে।

এইচপিভি একটি সাধারণ ভাইরাস, যা প্রধানত যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এবং জরায়ুমুখ ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী নারীদের মধ্যে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হলো জরায়ুমুখ ক্যান্সার। বাংলাদেশেও এই রোগের প্রভাব উল্লেখযোগ্য, যেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার নারী এই রোগে আক্রান্ত হন এবং অনেকেই প্রাণ হারান।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের এই টিকা প্রদান করলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। এছাড়া, এই টিকা অন্যান্য এইচপিভি সম্পর্কিত রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক।

টিকাদান কর্মসূচির আওতায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই কর্মসূচি সফল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ, টিকা সরবরাহ ও সংরক্ষণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি বলেন, ‘এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি বাংলাদেশের নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা আশা করি, এই টিকাদানের মাধ্যমে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।’

তবে, টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। অনেক সময় টিকা সম্পর্কে ভুল ধারণা ও কুসংস্কারের কারণে মানুষ টিকা নিতে অনীহা প্রকাশ করে। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বিভিন্ন প্রচার কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণকে টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করছে।

সর্বোপরি, এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি বাংলাদেশের নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সঠিকভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা গেলে ভবিষ্যতে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের হার কমিয়ে নারীদের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ