গোলাপজলের গুণে গরমের দিনে শরীর ও মন দুটোই থাকবে সতেজ
গোলাপ ও এর নির্যাস বা গোলাপজল মিষ্টান্ন ও পানীয়তে বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে গরমের সময় নানা ধরনের সামার ড্রিংকে এর ব্যবহার আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গোলাপজলের শুধু ঘ্রাণই মনকে প্রফুল্ল করে না, বরং এর রয়েছে স্বাস্থ্য রক্ষায় নানা উপকারিতা। গ্রীষ্মে শরীর ঠান্ডা রাখা, হজমশক্তি বাড়ানো, ত্বক উজ্জ্বল করা ও মনকে শান্ত রাখার মতো নানা দিক থেকেই গোলাপ উপকারী।
গোলাপজল শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ঠান্ডা দুধ, গোলাপ লাচ্ছি বা শরবতের মতো পানীয়তে গোলাপজল মিশিয়ে খেলে শরীর থাকে ঠান্ডা ও সতেজ। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, গোলাপ একটি শীতলকারী ভেষজ। এতে এক চিমটি এলাচ মিশিয়ে খাওয়া গেলে তা আরও উপকারী হয়ে ওঠে।
গোলাপজলে এমন কিছু যৌগ রয়েছে, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। এটি হালকা রেচক হিসেবেও কাজ করে, ফলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রিক বা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে মিলতে পারে আরাম। খাবারের পরে গোলাপজল খেলে পাচনতন্ত্র ভালো থাকে। চাইলে চিয়া পুডিং বা ফলের সালাদেও অল্প পরিমাণে গোলাপজল মিশিয়ে নিতে পারেন।
গোলাপের তীব্র, মিষ্টি ঘ্রাণ মানসিক প্রশান্তি আনে। এর সুবাস মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণে সহায়তা করে, ফলে তৈরি হয় এক ধরনের স্বস্তি ও ইতিবাচক অনুভূতি। এতে রয়েছে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ও উদ্বেগ-বিরোধী গুণ, যা মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
গোলাপের পাপড়ি ও নির্যাসে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীর হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। এটি ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে। আইস পপ, নারকেল-গোলাপের পুডিং কিংবা যেকোনো হাইড্রেটিং ডেজার্টে গোলাপজল মিশিয়ে নিতে পারেন সহজেই।
এছাড়াও গোলাপজল ও পাপড়িতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা নিয়মিত সেবনে মুখ ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। গরমে যখন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে, তখন দই বা শরবতের মতো ঘরে তৈরি পানীয়তে গোলাপজল ব্যবহার করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
এই গরমে আপনার প্রতিদিনের ড্রিংকসে গোলাপজল যোগ করে শরীর ও মনকে রাখুন সতেজ।