বুধবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫| দুপুর ২:২৫

বাণিজ্য যুদ্ধে কেউই বিজয়ী হবে না: শি জিনপিং

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ১১, ২০২৫ ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
বাণিজ্য যুদ্ধে কেউই বিজয়ী হবে না: শি জিনপিং

বাণিজ্য যুদ্ধে কেউই বিজয়ী হবে না: শি জিনপিং

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, এই তথাকথিত ‘বাণিজ্য যুদ্ধে’ কেউই বিজয়ী হবে না। পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এই প্রথম শি জিনপিং এই ইস্যুতে সরাসরি কথা বললেন।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেইজিংয়ে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শি। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ঘটনায় আমরা ভীত নই। গত ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনের উন্নয়নের পেছনে মূল শক্তি ছিল আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং পরিশ্রম। আমরা কখনো অন্য কারো ওপর নির্ভর করিনি। কোনো অযৌক্তিক দমন-পীড়ন আমাদের ভয় দেখাতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “এই বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ জিতবে না। যদি কেউ বিশ্ব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যায়, তবে সে নিজেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।” শি জিনপিংয়ের এই বক্তব্য চীনের অবস্থানকে স্পষ্ট করেছে—তারা শুল্ক যুদ্ধে জড়াতে চান না, তবে প্রয়োজনে পাল্টা জবাব দেবেন।

এই উত্তেজনার শুরু হয় মার্চে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এরপর গত ২ এপ্রিল তিনি শুল্ক বাড়িয়ে ৩৪ শতাংশ করার ঘোষণা দেন। জবাবে চীন পরের দিনই মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক ধার্য করে। এতে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প গত ৭ এপ্রিল তাঁর সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ বলেন, “বেইজিং যদি ৮ এপ্রিলের মধ্যে শুল্ক তুলে না নেয়, তবে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে।” চীন এই হুমকিতে সাড়া না দেওয়ায় ৯ এপ্রিল থেকে শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ করা হয়।

গত ৮ এপ্রিল চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ট্রাম্পের ‘অপমানজনক’ শুল্ক নীতি অব্যাহত থাকলে তারা শেষ পর্যন্ত লড়বে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল তারা মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করে। কিন্তু ট্রাম্প থামেননি। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দফায় তিনি চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ান। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শুল্ক ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চীন মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দেয়।

শি জিনপিংয়ের মন্তব্য এই শুল্ক যুদ্ধের বিরুদ্ধে একটি সতর্কবার্তা। তিনি বিশ্ব বাণিজ্যের স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়েছেন। এই পাল্টাপাল্টি শুল্ক বৃদ্ধি শুধু দুই দেশের অর্থনীতিই নয়, বিশ্ব বাণিজ্য, সরবরাহ শৃঙ্খল এবং দামের ওপরও প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশের মতো দেশ, যারা উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য এটি নতুন চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে পোশাক ও ইলেকট্রনিক্স খাতে এর প্রভাব পড়তে পারে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি