হত্যা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার গ্রেপ্তার
রাজধানী ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার একটি হত্যা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকার সিএমএম আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ১২ মার্চ একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী জামিন পেয়েছিলেন। সেদিন হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর বেঞ্চ তার জামিনের রুল যথাযথ ঘোষণা করে। শমীর পক্ষে আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ ও আনিসুল হাসান শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব ও জিসান হায়দার।
ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের ৫ নভেম্বর। দিবাগত রাতে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ৫৩ নম্বর বাসা থেকে শমীকে আটক করা হয়। এটি ছিল হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার অংশ। নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। গত ১০ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল করে।
১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করে শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। পরে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির সময়সীমা দেয়। এর ধারাবাহিকতায় ১২ মার্চ শমী জামিন পান। কিন্তু এবার হত্যা মামলায় তার গ্রেপ্তারের আদেশ এসেছে।
শমী কায়সার শুধু অভিনেত্রী নন, তিনি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতিও ছিলেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৪ আগস্ট তিনি সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৭০ সালে জন্ম শমী কায়সার একটি পরিচিত পরিবার থেকে এসেছেন। তার বাবা শহীদুল্লাহ কায়সার, মা পান্না কায়সার। পান্না একজন লেখিকা ও সাবেক সংসদ সদস্য। শমীর খালা মায়া চৌধুরী সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দুজা চৌধুরীর স্ত্রী। এই হিসেবে রাজনীতিক মাহি বি চৌধুরী তার খালাতো ভাই।
হত্যাচেষ্টার মামলা থেকে জামিন পেলেও এবার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের আদেশে শমীর ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আদালতের এই নির্দেশে তার আইনজীবীরা কী পদক্ষেপ নেবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।