স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার চোখে টর্চের আলো, পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম
কুমিল্লার লাকসামে পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেনের টর্চের আলো চোখে পড়ায় তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এমরান হোসেন। বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, রাতে উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের মনপাল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে সাদ্দাম, তার স্ত্রী এবং মা আহত হয়েছেন।
সাদ্দাম হোসেন মনপাল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ফেনীর দাগনভূঁইয়া থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। অভিযুক্ত এমরান হোসেন উত্তরদা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক, আর দল তাকে বহিষ্কার করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সাদ্দাম টর্চ জ্বালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এমরানের চোখে টর্চের আলো পড়ে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এমরান। তিনি সাদ্দামের সঙ্গে তর্কে জড়ান। বিষয়টি সেখানেই থেমে থাকলেও রাতে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। এমরান তার দলবল নিয়ে সাদ্দামের বাড়িতে হামলা চালান। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সাদ্দামকে গুরুতর জখম করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী ও মা এগিয়ে এলে তাদেরও আঘাত করা হয়।
প্রতিবেশীরা দ্রুত এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করেন। তাদের লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তারা এখন চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সাদ্দামের অবস্থা গুরুতর, তবে স্থিতিশীল। তার স্ত্রী ও মায়েরও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সাদ্দাম বলেন, “রাতে আমি টর্চ জ্বালিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। দূর থেকে এমরানের চোখে আলো পড়ে। এতে সে উত্তেজিত হয়ে আমার সঙ্গে ঝগড়া করে। পরে দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে আমাকে কুপিয়ে জখম করে।” তিনি এই হামলার বিচার দাবি করেছেন।
এমরান পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বেলাল বলেন, “এই ঘটনা দলের হাইকমান্ডের নজরে এসেছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে এমরানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা এমন আচরণ সমর্থন করি না।”
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “হামলায় সাদ্দাম, তার স্ত্রী ও মা আহত হয়েছেন। আমরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এমরানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” পুলিশ জানায়, রাতেই অভিযান শুরু হয়েছে, কিন্তু এমরান এখনও ধরা পড়েনি।