কিডনিতে ছত্রাকের সংক্রমণ: ঝুঁকি ও প্রতিরোধ
চিকিৎসকদের মতে, কিডনিতে ছত্রাকের সংক্রমণ হলে এবং তা যথাসময়ে চিহ্নিত না হলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে এই সংক্রমণ থেকে রক্ত দূষিত হওয়া, কিডনি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বা সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ঝুঁকিতে কারা?
ডায়াবেটিস রোগীরা এবং যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের কিডনিতে ছত্রাকের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে ক্যানসার বা এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও এই সংক্রমণের শিকার হতে পারেন। সাধারণত সুস্থ মানুষের মধ্যে এ ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা কম।
কেন ছত্রাক সংক্রমণ ছড়ায়?
যেসব মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের শরীরে এই সংক্রমণ দ্রুত বিস্তার লাভ করে। কোভিড পরবর্তী সময়ে অনেকের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি দেখা গেছে।
ডায়াবেটিস রোগীদের উচ্চমাত্রার রক্তশর্করা ও দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা ছত্রাক বৃদ্ধির সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে।
উপসর্গ
সংক্রমণের মাত্রার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
১. প্রস্রাবে জ্বালা
২. ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ
৩. কোমর বা কাঁখে ব্যথা
৪. বমি
৫. জ্বর
কিছু রোগীর ক্ষেত্রে কাঁখের ত্বকের রং বদলে যেতে পারে এবং ত্বক শক্ত হয়ে যেতে পারে, যা ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করলে রক্তচাপ কমে গিয়ে প্রাণসংশয়ও হতে পারে।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
সঠিক সময়ে অ্যান্টিফাঙ্গাল অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে কিডনির ছত্রাক সংক্রমণ সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। এই সংক্রমণ যেন দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি না করতে পারে, সে জন্য দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে এবং যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।