ট্রাম্পের ফোনেও ইউক্রেনে পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেন না পুতিন
২০২৫ সালের ১৮ মার্চ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী একটি টেলিফোন আলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনার মূল বিষয় ছিল ইউক্রেনে চলমান সংঘর্ষের অবসান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান, প্রেসিডেন্ট পুতিন তাতে সম্মতি দেননি। তবে, তিনি ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করতে সম্মত হন।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই নেতা শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা ৩০ দিনের জন্য স্থগিতের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। তবে, প্রেসিডেন্ট পুতিন পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে কিয়েভে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার শর্ত দিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই আংশিক যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন জানালেও, তিনি আরও বিস্তারিত জানতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরামর্শ করছেন। তিনি জোর দিয়েছেন যে, রাশিয়ার শর্তগুলো ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হতে পারে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই বিষয়ে সতর্ক থাকা।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই আংশিক যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে, তবে পূর্ণাঙ্গ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাশিয়ার শর্তগুলো ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হতে পারে এবং এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সতর্ক থাকা উচিত।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে এই আলোচনা ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যদিও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি এখনো অর্জিত হয়নি, তবুও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা স্থগিতের সিদ্ধান্ত সংঘর্ষ কমাতে সহায়ক হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করা এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখা।