বিশ্ব এইডস দিবস: দেশে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে
আজ ১ ডিসেম্বর, বিশ্ব এইডস দিবস। ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিনে সারা বিশ্বে এইডস প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে’। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিনটি উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।
বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে সংক্রমণ রোধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে নতুন করে ১,৪৩৮ জন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে এ রোগে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯৫ জন। যদিও এ বছর মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্বব্যাপী এইচআইভি/এইডস পরিস্থিতিও বেশ জটিল। ওয়ার্ল্ডো মিটারসের তথ্যমতে, সারা বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুমিত এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫১৩ জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের ঝুঁকি তুলনামূলক কম হলেও দেশটি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে কারণ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমার এই রোগের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থান করছে। ফলে সচেতনতার অভাব বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এইচআইভি সংক্রমণের এখনো কোনো কার্যকর প্রতিকার আবিষ্কৃত হয়নি। তবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধি এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা সম্ভব। এইডস সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান, সময়মতো সুরক্ষা গ্রহণ এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে সংক্রমণ কমানো সম্ভব বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।