যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সরে আসা এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি সতর্ক সংকেত। ভবিষ্যতে আমাদের কী করণীয় তা এখনই নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের জন্য সংকেত
১. গ্লোবাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সংকট:
যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ায় হু-এর কার্যক্রমে আর্থিক সংকট সৃষ্টি হবে। এটি বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে ভ্যাকসিন কর্মসূচি ও রোগ প্রতিরোধ প্রচেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করবে।
২. ভবিষ্যৎ মহামারির প্রস্তুতি দুর্বল হওয়া:
হু-এর তহবিল সংকট বৈশ্বিক রোগপ্রতিরোধে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ এবং জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
৩. বিশ্ব স্বাস্থ্য সহযোগিতার হ্রাস:
মহামারির সময়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া এই অংশীদারিত্ব দুর্বল করবে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
বাংলাদেশের করণীয়
১. জাতীয় স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন:
- স্বাস্থ্য বাজেট বৃদ্ধি ও স্থায়ী তহবিল তৈরি।
- নিজস্ব সক্ষমতায় ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ।
২. বিশেষজ্ঞদের দক্ষতা ব্যবহার:
- হু-এর প্রকল্পে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি।
- তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব নির্ধারণ এবং স্থানীয় চাহিদার সঙ্গে মেলানোর মাধ্যমে জনস্বার্থে কাজে লাগানো।
৩. বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব:
- হু ছাড়াও গায়াভি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা।
- আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব বাড়ানো।
৪. মহামারির জন্য প্রস্তুতি:
- শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধ পরিকল্পনা প্রণয়ন।
- জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও জরুরি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন।
আমাদের সাফল্যের পথে চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা
বাংলাদেশের প্রশাসনিক দুর্বলতা, দুর্নীতি এবং দক্ষতার অভাব আমাদের অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে। তবে সঠিক নেতৃত্ব এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই চিত্র বদলানো সম্ভব।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
- দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন নিশ্চিত করা।
- আধুনিক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার মাধ্যমে কর্মীদের উন্নয়ন।
- শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বিনিয়োগ।
- বেসরকারি খাত, সরকার এবং জনগণের সমন্বয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা।
আমাদের লক্ষ্য:
একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ প্রশাসন এবং উন্নত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে অগ্রণী বাংলাদেশ।
আপনার মতে, বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করতে পারে?