নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলা
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে কর্মচারী ও আউটসোর্সিং কর্মীদের দিয়ে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদ ও যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলমের পদত্যাগের দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন হাসপাতালটিতে কর্মরত চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, যতক্ষণ না এই দুই কর্মকর্তার পদত্যাগ ঘটে, ততক্ষণ তারা কাজে ফিরে যাবেন না।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক সমাজের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে সকালে স্বাচিপপন্থি চিকিৎসকদের আবারও নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ফিরিয়ে আনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে হাসপাতালের কর্মচারীরা চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালায়। অভিযোগ উঠেছে যে হামলাকারীরা হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদের অনুগত ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, বর্তমান পরিচালক কাজী দীন মোহাম্মদ আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং তিনি অনেক সময় রাজাকারের বাচ্চা বলে গালিও দিয়েছেন। তিনি হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন, যেখানে অন্য সব হাসপাতাল ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। বর্তমানে তিনি আবারও স্বাচিপের চিকিৎসকদের হাসপাতালের কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন এবং বিরোধী চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করেছেন।
তিনি আরও জানান, “আজ চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল, যেখানে পরিচালকের নির্দেশে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা হামলা করেছে। হামলায় বেশ কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক আহত হয়েছেন এবং কয়েকজন চিকিৎসককে রুমে আটকে রাখা হয়েছে।”
অন্যদিকে, চিকিৎসকরা দাবি করছেন, গতকাল (মঙ্গলবার) যখন স্বাচিপ নেতা ডা. গুরুদাস মন্ডলকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ আসে, তখন প্রতিবাদ করতে গেলে পরিচালক ও তার অনুগত কর্মচারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
চিকিৎসকদের দাবি, পরিচালক দীন মোহাম্মদ আওয়ামী লীগের সময় এক দলে তার আনুগত্য প্রকাশ করে বিএনপি-জামায়াতপন্থি চিকিৎসকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছেন এবং তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন। তারা বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে দীন মোহাম্মদ এবং তার সহযোগী বদরুল আলমের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে।
তবে, অধ্যাপক দীন মোহাম্মদকে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।