রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫| রাত ৮:৪৬

টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ার দাবি দূর্নীতিবিরোধী জোটের

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ১৪, ২০২৫ ৫:১৭ অপরাহ্ণ
টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ার দাবি দূর্নীতিবিরোধী জোটের

টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ার দাবি দূর্নীতিবিরোধী জোটের

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে দুর্নীতির অভিযোগের কারণে। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাগুলোর উদ্বেগের মধ্যে, দেশের দুর্নীতিবিরোধী জোট তাকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই জোটে বিশ্বখ্যাত সংগঠন যেমন অক্সফাম এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালও রয়েছে।

টিউলিপ সিদ্দিক, ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সদস্য, বর্তমানে ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি এবং সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার প্রধান কাজ হলো যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। তবে, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে, যা তার নিজ দেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে।

এ ঘটনায়, গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ। তবে, সিদ্দিক নিজেকে কোনো ভুল না করার দাবি করেছেন। ব্রিটিশ সরকারের মুখপাত্রও জানিয়েছেন, সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাগুলির মতে, সিদ্দিকের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগের কারণে তার মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ার দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। বিশেষত, তিনি যেহেতু টাকার লন্ডারিং এবং অর্থনৈতিক অপরাধ মোকাবেলায় দায়িত্ব পালন করছেন, তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে স্বার্থের সংঘাত তৈরি করছে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্কও এই চাপে আরও বেশি প্রভাব ফেলছে।

বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকগুলো ইতিমধ্যে সিদ্দিকের সঙ্গে সম্পর্কিত অ্যাকাউন্টের লেনদেনের বিবরণও চাইতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, ২০০৪ সালে একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগও টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে উঠেছে, যা তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে আরও শক্তিশালী করেছে।

বর্তমানে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তদন্তের চাপ এবং ব্রিটিশ সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষার বিষয়টি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ