রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫| রাত ১১:১০

মেয়র মহিউদ্দিন বাদ, শহীদ ওয়াসিমের নামে চট্টগ্রামের উড়ালসড়ক

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ৩, ২০২৫ ৫:৫৮ অপরাহ্ণ
মেয়র মহিউদ্দিন বাদ, শহীদ ওয়াসিমের নামে চট্টগ্রামের উড়ালসড়ক

মেয়র মহিউদ্দিন বাদ, শহীদ ওয়াসিমের নামে চট্টগ্রামের উড়ালসড়ক

চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নাম বাদ দিয়ে উড়ালসড়কটির নাম রাখা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে। প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নামকরণের এই সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) থেকে উড়ালসড়কটিতে টোল আদায়ের কার্যক্রম শুরু হবে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আনুষ্ঠানিকভাবে পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায়ের উদ্বোধন করবেন।

উড়ালসড়কটির নির্মাণের প্রধান লক্ষ্য ছিল শহরের যানজট কমিয়ে আনাসহ চট্টগ্রাম শহর থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাতায়াত আরও সহজ এবং দ্রুত করা। সিডিএ ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ৩,২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন করেছিল। পরে ২০১৮ সালে কাজ শুরু হয় এবং ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।

প্রাথমিক পরিকল্পনায় ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্য ছিল। তবে বিভিন্ন কারণে সময়সীমা এবং ব্যয় কয়েকবার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ সিডিএর আবেদনের ভিত্তিতে কাজ শেষ করার সময় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয়ও ১,৫১৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪,৩৬৯ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর সঙ্গে বিমানবন্দরের যোগাযোগ স্থাপন করেছে। এর ফলে নগরীর যানজট কমবে এবং যাত্রাপথে সময় বাঁচবে।

শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে উড়ালসড়কটির নামকরণ করার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিকে আরও গভীরভাবে মানুষের মনে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ওয়াসিম আকরাম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তার আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে এই নামকরণ একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নতুন নামকরণ এবং উড়ালসড়কটির টোল আদায় কার্যক্রম শুরু হওয়ার মাধ্যমে এটি এখন পুরোপুরি কার্যকর হতে চলেছে। এর ফলে চট্টগ্রামের নাগরিকদের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ

আপনার জন্য নির্বাচিত