স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা: কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও নির্দেশনা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী ভারতসহ কয়েকটি দেশে কোভিডের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেখানে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশের সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং এবং নজরদারি বাড়াতে সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এতে বলা হয়েছে, পার্শ্ববর্তী দেশে বিশেষ করে অমিক্রন সাব ভেরিয়েন্ট এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন-১ ও এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বাড়ছে। এ কারণে ভারতসহ অন্যান্য সংক্রামক দেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য দেশের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে আইএইচআর ডেস্কে সতর্কতা ও নজরদারি জোরদার করতে হবে।
নির্দেশনায় সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য হাত নিয়মিত সাবান দিয়ে ধোয়া (কমপক্ষে ২৩ সেকেন্ড), মাস্ক ব্যবহার, আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে থাকা, অপরিষ্কার হাত দিয়ে মুখ, নাক ও চোখ স্পর্শ না করা এবং হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখার মত সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দেশের প্রবেশদ্বারগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার বা ডিজিটাল হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ এবং পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস ও রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুদ রাখতেও বলা হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচারও জরুরি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক রোগীর ক্ষেত্রে ঘরে থাকা, গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে যোগাযোগ করা এবং রোগীর মাস্ক পরানো জরুরি বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর ০১৪০১-১৯৬২৯৩-এ যোগাযোগ করারও কথা বলা হয়েছে।