ব্যাটাররা ব্যর্থ, নয় নম্বরে ব্যাটিং করে ইতিহাস গড়লেন তানজিম সাকিব
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় আবারও ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। তবে এক ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স দেখান পেসার তানজিম সাকিব—নয়ে নেমে খেলেন ৫০ রানের ইনিংস, যা ম্যাচের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর এবং একটি বিশ্বরেকর্ডও বটে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসেন তানজিম সাকিব। নিজের ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যখন উইকেটে যাই, তখন মিরাজ ভাই ব্যাট করছিলেন। আমার লক্ষ্য ছিল তাকে সাপোর্ট দেওয়া, স্ট্রাইক রোটেট করে খেলা। উনি আমাকে বলেছিলেন “তুই থাক, তাহলে হয়তো ম্যাচ বের করে নিতে পারব।” কিন্তু একের পর এক উইকেট হারানোয় সেটা আর সম্ভব হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, এই পিচে ২০০ রান তাড়া করে জেতা সম্ভব, তবে তার জন্য ব্যাটারদের আরও দায়িত্ব নিতে হবে।
এদিন বাংলাদেশের বোলিং বিভাগও সমস্যায় পড়ে, কারণ শুরুতেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন শরিফুল ইসলাম। মাত্র ৩ বল করেই তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে সাকিব জানান, ‘লিটন দাস ভাই ভালোভাবে বিষয়টি সামলেছেন। অকেশনাল বোলারদেরও যথাযথভাবে কাজে লাগিয়েছেন।’
উইকেট পতনের ধারা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন সাকিব। বলেন, ‘আমরা ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারিয়েছি। ইমনের আউটের পর তামিমকেও হারাই। তারপর লিটন-হৃদয় কিছুটা গড়ার চেষ্টা করলেও লিটনের আউট আমাদের ভেঙে দেয়, এরপর হৃদয়ের উইকেটও যায়।’
তবে দলের এই ব্যর্থতার মধ্যেও তানজিম সাকিব নিজেকে আলাদা করে চিহ্নিত করেছেন। নয় নম্বরে নেমে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি করার ঘটনা এর আগে ঘটেছে কেবল একবার, সেটিও অস্ট্রিয়া বনাম স্লোভেনিয়ার ম্যাচে। সে তুলনায় তানজিমের অর্জন আরও তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্ব ক্রিকেটে নয় নম্বরে ফিফটি করা দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এখন তাঁর নাম ইতিহাসের পাতায়।
এমন ইনিংসের পরও দল জিততে পারেনি—এটাই বড় আক্ষেপ। তবে ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত বার্তা দিয়ে রাখলেন তরুণ এই পেসার-ব্যাটার।