শান্তির কথা বলেও হুমকি দেন ট্রাম্প: ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণকে বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার (১৬ মে) তেহরানে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “তিনি একই সময়ে, একই সঙ্গে শান্তির পক্ষে কথা বলেন, আবার সবচেয়ে আধুনিক অস্ত্র দিয়ে বহু মানুষকে হত্যার হুমকি দেন। আমরা কোনটা বিশ্বাস করব?”
তিনি জানান, তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিকে ভয় পায় না। তবে সংঘাতের পথ পরিহার করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু প্রকল্প নিয়ে সংলাপে আগ্রহী রয়েছে ইরান। প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, “আমরা যুদ্ধ চাই না এবং এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যেতে চাই।”
উল্লেখ্য, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বহু বছর ধরেই উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায়। এ নিয়ে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরান ‘জ্যাকোপা’ নামে একটি চুক্তি করে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৭ সালে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন, ফলে সেটি অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং ইরান ফের তার পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করে।
পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ-এর তথ্যমতে, ইরান বর্তমানে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করছে। বিশুদ্ধতা যদি ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়, তাহলে অন্তত ছয়টি পারমাণবিক বোমা তৈরি সম্ভব বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সঙ্গে সংলাপে আগ্রহ প্রকাশ করে। ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি দেন এবং ইরানও তাতে সাড়া দেয়। ওমানের মধ্যস্থতায় সংলাপ শুরু হয়। এই সংলাপের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমি আশা করছি সংলাপ সফল হবে। কারণ তারা জানে যে যদি এটি সফল না হয়, তাহলে খুব, খুব খারাপ কিছু ঘটবে।”