বৃহস্পতিবার, ২২শে মে, ২০২৫| ভোর ৫:২০

মিয়ানমারের সংকট নিরসনে দুটি বিশেষ বৈঠক ডাকছে আসিয়ান

প্রতিবেদক
staffreporter
মে ২১, ২০২৫ ৯:০৩ অপরাহ্ণ
মিয়ানমারের সংকট নিরসনে দুটি বিশেষ বৈঠক ডাকছে আসিয়ান

মিয়ানমারের সংকট নিরসনে দুটি বিশেষ বৈঠক ডাকছে আসিয়ান

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জোট আসিয়ান মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে দুটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করতে যাচ্ছে। আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের আগেই এই বৈঠক দুটি অনুষ্ঠিত হবে বলে বুধবার (২১ মে) জানিয়েছেন জোটের মহাসচিব কাও কিম হাউর্ন। শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আসিয়ান দীর্ঘদিন ধরে যে উদ্যোগ চালিয়ে আসছে, এই বৈঠকগুলো তারই অংশ।

২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করলে দেশে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ওই বছরই আসিয়ান এক শান্তি প্রস্তাব দেয়, যেখানে সহিংসতা বন্ধ ও সংলাপ শুরুর আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু প্রস্তাবটি কার্যকর না হওয়ায় মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের আসিয়ানের বিভিন্ন সম্মেলন থেকে বাদ দেওয়া হয়।

আসন্ন দুটি বৈঠকের বিষয়ে কাও কিম হাউর্ন বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “এটি একটি নতুন উদ্যোগ, যা শুধু মিয়ানমার ইস্যু কেন্দ্র করে হবে। অন্য কোনো বিষয় এতে আলোচনায় থাকবে না।” তিনি জানান, এই বৈঠক দুটি মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে আলোচনা কিংবা সম্ভাব্য প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

প্রথম বৈঠকটি হবে আসিয়ানের বর্তমান, সাবেক ও আগামী সভাপতি দেশগুলোর মধ্যে— মালয়েশিয়া, লাওস ও ফিলিপাইন। দ্বিতীয়টি হবে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের আগে মিয়ানমার অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে থাকলেও, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সংঘাতে সেই সম্ভাবনা ভেঙে পড়ে। সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিদ্রোহীদের ওপরও বর্বর দমন-পীড়ন চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও সামরিক জান্তা দাবি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।

সংঘাত দীর্ঘদিন ধরে চলার পরও আসিয়ানের কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার প্রশ্নে কাও কিম হাউর্ন বলেন, “যদি কেউ চায় সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক, তাহলে সেটি সঠিক হবে না। আমরা কাজ করছি, কিন্তু সমাধানে সময় লাগবে। আসলে আমরা সবাই খুবই অধৈর্য।”

গত মার্চে মিয়ানমারে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ওই সময় বিদ্রোহী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে স্বল্প সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। পরবর্তীতে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের ঘটনা অব্যাহত থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিয়ান মহাসচিব বলেন, “কে আগে যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।”

এদিকে, আসিয়ানে পূর্ব তিমুরকে ১১তম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে বলে জানান কাও কিম হাউর্ন। তিনি বলেন, পূর্ব তিমুর সদস্যপদ অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু মানদণ্ড ইতোমধ্যে পূরণ করেছে।

সূত্র: রয়টার্স

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ

আপনার জন্য নির্বাচিত