মঙ্গলবার, ১০ই জুন, ২০২৫| দুপুর ২:৪৬

গঙ্গার পানি চুক্তি নিয়ে যৌথ বৈঠকে ভারত যাচ্ছে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল

প্রতিবেদক
staffreporter
মার্চ ২, ২০২৫ ১:৪১ অপরাহ্ণ
গঙ্গার পানি চুক্তি নিয়ে যৌথ বৈঠকে ভারত যাচ্ছে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল

গঙ্গার পানি চুক্তি নিয়ে যৌথ বৈঠকে ভারত যাচ্ছে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে ১১ সদস্যের একটি বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল আগামী সোমবার (৩ মার্চ) ভারতে যাচ্ছে। পিটিআই সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী সপ্তাহে গঙ্গার পানি বণ্টন সংক্রান্ত ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তির নবায়ন নিয়ে আলোচনা করতে যৌথ কমিটির ৮৬তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধি দল গঙ্গার পানি বণ্টন এবং সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবে।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ভারতে যাবে। প্রতিনিধি দলটি ৩ মার্চ কলকাতা পৌঁছানোর পর সরাসরি ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর যৌথ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে যাবে এবং ৫ মার্চ সকালে পর্যবেক্ষণ শেষ করবে। এর পর ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের অধীনে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতের সিনিয়র যুগ্ম কমিশনার (এফএম) আর আর সামভারিয়ার এক চিঠিতে বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে। আবুল হোসেন জানিয়েছেন, যৌথ নদী কমিশন প্রতিবছর একবার বসে এবং আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।

ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, বাংলাদেশ এবং ভারত ৫৪টি নদী ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে। ১৯৭২ সালে গঠিত যৌথ নদী কমিশন এই অভিন্ন নদীগুলোর বিষয়ে আলোচনা এবং সমাধানের জন্য কাজ করে আসছে।

গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিটি ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। গত বছরের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় চুক্তির নবায়ন নিয়ে কারিগরি আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেন।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
খালি পেটে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

খালি পেটে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ওজন কমাতে ভাত পুরোপুরি ছাড়ার প্রয়োজন নেই

ওজন কমাতে ভাত পুরোপুরি ছাড়ার প্রয়োজন নেই

পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ইমরান খানের চিঠি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ইমরান খানের চিঠি

সকালে লেবু-পানি পানের উপকারিতা

সকালে লেবু-পানি পানের উপকারিতা

সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আটক

জামায়াত নেতাদের প্রশংসা করে গোলাম রাব্বানীর ফেসবুক পোস্ট

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম খাওয়া কি ঝুঁকিপূর্ণ? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন বাজারে উঠেছে গ্রীষ্মের অমীয় স্বাদ—ফলের রাজা আম। এটি যেমন সুস্বাদু, তেমনি প্রি-বায়োটিক, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে ভিটামিন এ, বি, সি ও ই সহ ২০ ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে আমের প্রাকৃতিক মিষ্টতা নিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে থাকে দুশ্চিন্তা—আসলে তাঁরা আম খেতে পারবেন কিনা। এই বিষয়ে ফরাজি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ বলেন, ডায়াবেটিস রোগীরা একেবারেই আম খেতে পারবেন না—এমন ধারণা সঠিক নয়। বরং শর্করাযুক্ত অন্যান্য খাবারের পরিমাণ কমিয়ে সামঞ্জস্য রেখে আম খাওয়া যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে, সকালের নাশতায় যাঁরা তিনটি রুটি খান, তাঁরা একটি রুটি বাদ দিয়ে একটি আম খেতে পারেন। আবার যারা চিড়া খান, তাঁরা পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আম যুক্ত করতে পারেন। রাতের খাবারে অনেকেই আম দিয়ে দুধ-ভাত খেতে পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে ভাতের পরিমাণ অর্ধেক কমিয়ে নেওয়া উচিত এবং এই খাবারটি সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ করা ভালো। কারণ রাতে ক্যালোরি খরচের সুযোগ কম থাকে। অন্যদিকে, সকালে আম খেলে সারাদিনের কাজে সেই ক্যালোরি খরচ হয়ে যায়। পাকা আম খাওয়ার পর অন্তত ১ ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০–৬০ গ্রাম আম খেতে পারেন, অর্থাৎ একটি ছোট আম বা অর্ধেক মাঝারি আম। বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল ও ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা জানান, আম লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) সম্পন্ন একটি ফল, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ স্ন্যাকস হতে পারে। এতে থাকা আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া আমে থাকা ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আর পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তবে ছন্দা সতর্ক করে বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের দিনে একটির বেশি আম না খাওয়াই ভালো। কারণ আমের মিষ্টি উপাদান রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আম খাওয়ার পর ব্লাড সুগার বেড়ে যাচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করাও জরুরি। সুতরাং, ডায়াবেটিস থাকলেও নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় ও সময় জেনে আম খাওয়া যেতে পারে—বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম খাওয়া কি ঝুঁকিপূর্ণ? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

নারায়ণগঞ্জ ও সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বৃহস্পতিবার

নারায়ণগঞ্জ ও সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বৃহস্পতিবার

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ক্রিকেট ফিক্সিংয়ের চেষ্টা, শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় যুবককে চার বছরের সাজা

ক্রিকেট ফিক্সিংয়ের চেষ্টা, শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় যুবককে চার বছরের সাজা