ইশরাক হোসেনের মামলায় আপিল না করা নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি, রয়েছে কি আইনগত জটিলতা?
ধানের শীষ প্রতীকের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের দায়ের করা নির্বাচনী মামলার রায় এবং ওই রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের আপিল না করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে আইনি প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে আইন ও বিচার বিভাগের কাছে মতামত চেয়ে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
আজ পাঠানো এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মাহবুবা আইরিন। ‘মতামত প্রদান সংক্রান্ত’ শিরোনামে চিঠিটি আইন ও বিচার বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের নির্বাচনী মামলা (নং ১৫/২০২০)-তে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ রায় দেয়। এ মামলায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পক্ষভুক্ত থাকলেও তারা আপিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগ বলছে, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত ও সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯-এর ধারা ৬-এর আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণে কোনো আইনগত জটিলতা রয়েছে কি না, তা জানতেই তারা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলাটি একতরফা ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হয়, কারণ নির্বাচন কমিশন এতে সক্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। হাইকোর্টে আর্জি সংশোধন সংক্রান্ত একটি রায় থাকলেও তা যথাযথভাবে বিবেচনায় আনা হয়নি। পাশাপাশি, ইশরাক হোসেনের মামলার বিপরীতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের এক মেয়র প্রার্থীর অনুরূপ আবেদন নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল খারিজ করেছিল—যা বিষয়টি আরও জটিল করে তুলেছে।
এ ছাড়া, সর্বশেষ অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরে মেয়াদের বিষয় নিয়েও আইনি বিভ্রান্তি রয়েছে। এসব বিবেচনায়, আইনগতভাবে কোনো বাধা রয়েছে কি না, তা পরিষ্কার করতেই চিঠিটি আইন ও বিচার বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে এখন আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের দিকেই তাকিয়ে আছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।