পারমাণবিক আলোচনা চলাকালে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা চলা অবস্থায় ইরানের ওপর আবারও চাপ বৃদ্ধি করলো যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সঙ্গে পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের অবৈধ বাণিজ্যের অভিযোগে একাধিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় মার্কিন প্রশাসন, জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের সঙ্গে পেট্রোলিয়াম ব্যবসায় জড়িত থাকার দায়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক ও ইরানভিত্তিক সাতটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার তালিকায় দুটি পরিবহন বাহনও রয়েছে।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও একটি পৃথক বিবৃতিতে জানান, ইরানের সঙ্গে শত শত কোটি ডলারের জ্বালানি বাণিজ্যে জড়িত চারজন বিক্রেতা ও একজন ক্রেতাকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রুবিও আরও বলেন, চীনসহ বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে ইরানের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে নিউ ইয়র্কে অবস্থিত ইরানি মিশনের পক্ষ থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
এই নিষেধাজ্ঞা এমন এক সময় এলো যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নিয়মিত বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবার রোমে ইরানি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে মার্কিন কর্মকর্তাদের। তার আগেই ওয়াশিংটন এই নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করলো।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম থামাতে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার মতে, ইরানকে নিয়ন্ত্রণে আনার দুটি পথ রয়েছে— হয় শক্তি প্রয়োগ, নয়তো চুক্তি। তিনি যে কোনো মূল্যে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে চান।
পশ্চিমা দেশের অভিযোগ, ইরান শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যের আড়ালে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে তেহরান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির একমাত্র লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক।
