ভিটামিন ডি গ্রহণের সঠিক নিয়ম জানলে মিলবে সর্বোচ্চ উপকার
ভিটামিন ডি শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি পুষ্টি উপাদান। এটি হাড়ের ঘনত্ব রক্ষা করে, এবং এর ঘাটতি অস্টিওপরোসিসসহ হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সূর্যের আলো শরীরের কোলেস্টেরলকে কাজে লাগিয়ে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে। তবে যারা রোদে বের হন না বা সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন, তারা ভিটামিন ডি-র ঘাটতিতে ভুগতে পারেন। এ অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে। তবে শরীর কতটা কার্যকরভাবে এই ভিটামিন শোষণ করবে, তা নির্ভর করে কবে ও কীভাবে এটি গ্রহণ করা হচ্ছে তার ওপর।
রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. লাবনী মমিন জানান, শরীরের স্বাভাবিক রিদম বা ছন্দের সঙ্গে মিল রেখে সকালে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা সবচেয়ে উপকারী। সকালে খেলে এটি শোষণ ভালো হয় এবং ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটায় না। কিন্তু রাতে খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই সকালে নাস্তা খাওয়ার পরই এই সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ভিটামিন ডি যেহেতু চর্বিতে দ্রবণীয়, তাই এটি শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয় যদি তা স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবারের সঙ্গে খাওয়া হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাভোকাডো, বাদাম, ডিম কিংবা জলপাই তেলযুক্ত খাবারের সঙ্গে ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে এর শোষণ বাড়ে।
এছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিন এবং একই সময়ে সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা স্থিতিশীল থাকে এবং এটি শরীরে কার্যকরভাবে শোষিত হয়।
সঠিক নিয়মে ভিটামিন ডি গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুললে শরীর পাবে এর সর্বোচ্চ উপকার—হাড় থাকবে মজবুত, শরীরের রোগপ্রতিরোধক্ষমতা থাকবে সক্রিয় এবং ঘুমের ছন্দও থাকবে ঠিকঠাক।