কাভারার ঝলকে মার্তিনেজের প্রতিরোধ ভাঙল, প্রথম লেগে এগিয়ে পিএসজি
ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগেই উত্তাপ ছড়িয়েছিল স্নায়ুযুদ্ধে। ফ্রান্সের মাঠে আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে চুল রাঙিয়ে, মাথায় বিশ্বকাপের লোগো খচিত ক্যাপ পরে হাজির হয়েছিলেন অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক এমি মার্তিনেজ। উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট—পিএসজির ফরাসি তারকাদের মনে বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনা। সেই আগুনে আরও ঘি ঢেলেছিলেন পিএসজি তারকা দেসিরে দুয়ে, যিনি খোলাখুলি বলেই দিয়েছিলেন, মার্তিনেজের বিরুদ্ধে খানিকটা প্রতিশোধ নিতে চান।
মাঠে নেমেই দেসিরে সেই প্রতিশোধটা নিয়েছেন গোল করে। তবে পুরো ম্যাচের আলো কেড়ে নিয়েছেন জর্জিয়ান তরুণ খাভিচা কাভারাৎসখেলিয়া, যাকে অনেকে ইতিমধ্যেই ডাকছেন ‘নতুন ম্যারাডোনা’। ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন মার্তিনেজ, করেছেন ৮টি সেইভ আর ৯টি রিকোভারি, কিন্তু একা হাতে পিএসজির ভয়ঙ্কর আক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে লুইস এনরিকের দল।
প্রথমার্ধে খেলায় আধিপত্য করে পিএসজি। ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটেই অন্তত ৮টি শট নেয় তারা, কিন্তু গোল পায়নি। বরং খেলার ধারার বিপরীতে প্রতি আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় ভিলা। জন ম্যাকগিন বল কাড়ার পর মার্কাস রাশফোর্ডের সহায়তায় টিলেমেন্সের পাস থেকে দুর্দান্ত টিম প্লেতে গোল করেন রজার্স।
তবে সেই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র ৪ মিনিট পরই বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে সমতায় ফেরান দেসিরে দুয়ে। বিরতির আগে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও এগিয়ে যেতে পারেনি পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কাভারাৎসখেলিয়া দারুণ এক শটে গোল করে এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের। এরপর যোগ করা সময়ে সতীর্থের থ্রু পাস ধরে গোল করেন নুনো মেন্দেজ। ম্যাচজুড়ে দারুণ পারফর্ম করলেও শেষ পর্যন্ত তিন গোল হজম করতেই হলো মার্তিনেজকে।
এখন সব তাকিয়ে আগামী বুধবারের দিকে, যখন ফিরতি লেগে অ্যাস্টন ভিলার মাঠে মুখোমুখি হবে দুই দল। পিএসজি এগিয়ে থাকলেও ভিলা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে—এটাই এখন বড় প্রশ্ন।