শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫| সকাল ৬:১৩

‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি: গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশের সংহতি প্রকাশ

প্রতিবেদক
staffreporter
এপ্রিল ৭, ২০২৫ ১:৪৬ অপরাহ্ণ
‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি: গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশের সংহতি প্রকাশ

‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি: গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশের সংহতি প্রকাশ

আজ, ৭ এপ্রিল ২০২৫, বাংলাদেশে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে, যা ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার প্রতিবাদে এবং গাজার জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে আয়োজিত হয়েছে।

কর্মসূচির পটভূমি

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের ‘দ্য ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস ইন প্যালেস্টাইন’ সংগঠনটি ৭ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দেয়। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। ​

বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া

সোমবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে জড়ো হয়ে গাজার জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাড্ডায়, এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ‘নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে। ​

ছাত্র সংগঠনগুলোর ভূমিকা

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। রোববার রাতেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন, এবং বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও নোটিশ দিয়ে গাজার পক্ষে সংহতি জানায়।

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট

এই কর্মসূচি শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন গাজার জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি পালন করছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গাজায় চলমান সংঘাতের অবসান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হচ্ছে। ​

উপসংহার

বাংলাদেশের জনগণ ও শিক্ষার্থীদের এই সংহতি প্রকাশ প্রমাণ করে যে মানবতার পক্ষে দাঁড়াতে জাতীয় সীমানা কোনো বাধা নয়। গাজার জনগণের প্রতি এই সমর্থন বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি