প্রোটিনের উৎস হিসেবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফল
প্রোটিন গ্রহণের সময় আমরা সাধারণত মাংস, দুধ বা ডালের মতো খাবারের কথা ভাবি। তবে ফলও হতে পারে প্রোটিনের একটি চমৎকার, albeit কমমাত্রার, উৎস। ফলের মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম হলেও কিছু নির্দিষ্ট ফল রয়েছে যেগুলো এই পুষ্টিতে অপেক্ষাকৃত সমৃদ্ধ। বিশেষ করে যারা উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করেন, তাদের জন্য এই ফলগুলো হতে পারে ভালো সহায়ক। নিচে এমন কয়েকটি ফল তুলে ধরা হলো যেগুলো প্রোটিন সরবরাহে ভূমিকা রাখতে পারে—
পেয়ারা (প্রতি ১০০ গ্রামে ২.৬ গ্রাম প্রোটিন)
পেয়ারা একটি শক্তিশালী সুপারফুড হিসেবে পরিচিত। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি হজমে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেয়ারা কাঁচা খাওয়া যায়, ফলের সালাদে ব্যবহার করা যায় অথবা জুস হিসেবেও উপভোগ করা যায়।
কাঁঠাল (প্রতি ১০০ গ্রামে ১.৭ গ্রাম প্রোটিন)
কাঁঠাল একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল যা এখন উদ্ভিদ-ভিত্তিক মাংসের বিকল্প হিসেবেও জনপ্রিয়। এতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন বি৬ এবং পটাসিয়াম। কাঁচা কাঁঠালের তন্তুযুক্ত গঠন কারি বা স্টার-ফ্রাইয়ের জন্য আদর্শ। যারা মাংস খাওয়া কমাতে চান তাদের জন্য এটি দারুণ বিকল্প হতে পারে।
কমলা (প্রতি ১০০ গ্রামে ১.২ গ্রাম প্রোটিন)
কমলা ভিটামিন সি এর অন্যতম ভালো উৎস হলেও এতে প্রোটিনও কিছুটা পরিমাণে থাকে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের সুস্থতায় সহায়তা করে। নাস্তা হিসেবে কিংবা জুসের মাধ্যমে কমলা খাওয়া যেতে পারে।
কলা (প্রতি ১০০ গ্রামে ১.১ গ্রাম প্রোটিন)
কলা একটি সহজলভ্য এবং পুষ্টিকর ফল। এতে আছে প্রোটিন, প্রচুর পটাসিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট। এটি পেশীর কার্যকারিতা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কলা স্মুদি, ডেজার্ট বা বেকিং পণ্যে ব্যবহার করা যায়।
অ্যাভোকাডো (প্রতি ১০০ গ্রামে ২ গ্রাম প্রোটিন)
অ্যাভোকাডো হলো স্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। এটি মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ফাইবার ও পটাসিয়াম সরবরাহ করে। ওজন নিয়ন্ত্রণ, ত্বক ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় এটি উপকারী। সালাদ, স্মুদি কিংবা হোল গ্রেইন টোস্টের সঙ্গে খাওয়া যায় অ্যাভোকাডো।
প্রোটিনের চাহিদা পূরণে ফল একা হয়তো যথেষ্ট নয়, তবে খাদ্যতালিকায় এসব ফল অন্তর্ভুক্ত করলে তা সামগ্রিক পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিশেষত, যারা নিরামিষভোজী বা কম মাংস খান, তাদের জন্য এগুলো হতে পারে প্রোটিনের প্রাকৃতিক উৎস।