সোমবার, ২রা জুন, ২০২৫| সকাল ৬:৩৭

শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশে সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর শারমীন এস মুরশিদের

প্রতিবেদক
staffreporter
মে ২৬, ২০২৫ ৮:৫৯ অপরাহ্ণ
শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশে সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর শারমীন এস মুরশিদের

শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশে সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর শারমীন এস মুরশিদের

শিশুদের প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশ নিশ্চিত করা সকলের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। তিনি বলেন, “শিশুরা জাতির ভবিষ্যত। তাদের সার্বিক উন্নয়নে প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশ অপরিহার্য।” এ লক্ষ্যে সরকার শিশুদের বাধ্যতামূলক ও বিনামূল্যে শিক্ষা, মৌলিক চাহিদা পূরণ, সুযোগের সমতা, সামাজিক সুরক্ষা, জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা রক্ষার বিষয়গুলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে।

সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী জাতীয় ইসিডি সম্মেলন ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। “শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশের সমন্বিত নীতির ১২ বছর—আমরা কোথায়” শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের নিউট্রিশন সেকশনের প্রধান এম এস দীপিকা মেহরিস শর্মা, বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্কের চেয়ারপারসন ড. মঞ্জুর আহমেদ এবং ইসিডির সদস্য সচিব এম এস সৈয়দা সাজিয়া জামান।

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, শিশুর পুষ্টি উন্নয়নের জন্য মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। পুষ্টিকর খাদ্য বেঁচে থাকা, বুদ্ধি ও শারীরিক বিকাশের ভিত্তি গড়ে তোলে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে পরিবারগুলোকে সহায়তা করার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে, যাতে পুষ্টি, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত ও সহজলভ্য করা যায়।

তিনি আরও বলেন, শিশুরা সুষম খাদ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিভিন্ন কারণে। এর মধ্যে রয়েছে পুষ্টিকর খাদ্য কেনার সামর্থ্যের অভাব, বাবা-মায়েদের সচেতনতার ঘাটতি, অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিনি মিশ্রিত পানীয়ের ব্যাপক প্রচারণা, এসব খাবারের প্রতি শিশুদের আসক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে কৃষিতে উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় খাদ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।

উপদেষ্টা বলেন, “জন্মপূর্ব ও জন্মপরবর্তী পরিবেশ শিশুর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই পরিবার ও সমাজে প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা চালানো হবে।” সরকারের পাশাপাশি পরিবার, সমাজ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টার ওপর এই উদ্যোগের সফলতা নির্ভর করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। শারমীন এস মুরশিদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে ১৮৭ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে ১৮৭ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

বাড়ছে চালের দাম - শুল্ক ছাড়েও নিয়ন্ত্রণে আসছে না বাজার

বাড়ছে চালের দাম – শুল্ক ছাড়েও নিয়ন্ত্রণে আসছে না বাজার

সিরিয়ায় রাতের আঁধারে সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক বিমান হামলা ইসরায়েলের

সিরিয়ায় রাতের আঁধারে সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক বিমান হামলা ইসরায়েলের

প্রাণ গ্রুপে ৪০০ জন নিয়োগ, পদ অ্যাসিস্ট্যান্ট টেরিটরি সেলস ম্যানেজার

প্রাণ গ্রুপে ৪০০ জন নিয়োগ, পদ অ্যাসিস্ট্যান্ট টেরিটরি সেলস ম্যানেজার

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান হলেন তুলসি গ্যাবার্ড

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান হলেন তুলসি গ্যাবার্ড

বিগত সরকার দেশকে না সাজিয়ে নিজেদেরকে সাজিয়েছে : জামায়াত আমির

বিগত সরকার দেশকে না সাজিয়ে নিজেদেরকে সাজিয়েছে : জামায়াত আমির

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম খাওয়া কি ঝুঁকিপূর্ণ? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন বাজারে উঠেছে গ্রীষ্মের অমীয় স্বাদ—ফলের রাজা আম। এটি যেমন সুস্বাদু, তেমনি প্রি-বায়োটিক, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে ভিটামিন এ, বি, সি ও ই সহ ২০ ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে আমের প্রাকৃতিক মিষ্টতা নিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে থাকে দুশ্চিন্তা—আসলে তাঁরা আম খেতে পারবেন কিনা। এই বিষয়ে ফরাজি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ বলেন, ডায়াবেটিস রোগীরা একেবারেই আম খেতে পারবেন না—এমন ধারণা সঠিক নয়। বরং শর্করাযুক্ত অন্যান্য খাবারের পরিমাণ কমিয়ে সামঞ্জস্য রেখে আম খাওয়া যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে, সকালের নাশতায় যাঁরা তিনটি রুটি খান, তাঁরা একটি রুটি বাদ দিয়ে একটি আম খেতে পারেন। আবার যারা চিড়া খান, তাঁরা পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আম যুক্ত করতে পারেন। রাতের খাবারে অনেকেই আম দিয়ে দুধ-ভাত খেতে পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে ভাতের পরিমাণ অর্ধেক কমিয়ে নেওয়া উচিত এবং এই খাবারটি সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ করা ভালো। কারণ রাতে ক্যালোরি খরচের সুযোগ কম থাকে। অন্যদিকে, সকালে আম খেলে সারাদিনের কাজে সেই ক্যালোরি খরচ হয়ে যায়। পাকা আম খাওয়ার পর অন্তত ১ ঘণ্টা হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০–৬০ গ্রাম আম খেতে পারেন, অর্থাৎ একটি ছোট আম বা অর্ধেক মাঝারি আম। বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল ও ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা জানান, আম লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) সম্পন্ন একটি ফল, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ স্ন্যাকস হতে পারে। এতে থাকা আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া আমে থাকা ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আর পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তবে ছন্দা সতর্ক করে বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের দিনে একটির বেশি আম না খাওয়াই ভালো। কারণ আমের মিষ্টি উপাদান রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আম খাওয়ার পর ব্লাড সুগার বেড়ে যাচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করাও জরুরি। সুতরাং, ডায়াবেটিস থাকলেও নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় ও সময় জেনে আম খাওয়া যেতে পারে—বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম খাওয়া কি ঝুঁকিপূর্ণ? বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

যেভাবে কাটবেন বাণিজ্য মেলার টিকিট, নেই ভোগান্তি

যেভাবে কাটবেন বাণিজ্য মেলার টিকিট, নেই ভোগান্তি

গাজা পুরোপুরি দখল না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে: নেতানিয়াহু

গাজা পুরোপুরি দখল না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে: নেতানিয়াহু

ন্যাশনাল ব্যাংকে আইটি সিকিউরিটি প্রফেশনাল পদে নিয়োগ

ন্যাশনাল ব্যাংকে আইটি সিকিউরিটি প্রফেশনাল পদে নিয়োগ