শনিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫| সন্ধ্যা ৭:১৪

ইরানের তেলমন্ত্রীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রতিবেদক
staffreporter
মার্চ ১৪, ২০২৫ ৩:৫৪ অপরাহ্ণ
ইরানের তেলমন্ত্রীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ইরানের তেলমন্ত্রীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেলমন্ত্রী বিজান নামদার জাঙ্গানেহসহ মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ, ইরানের তেল খাতকে ব্যবহার করে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এবং লেবাননের হিজবুল্লাহসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিদেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ অফিস (ওএফএসি) ইরানের তেলমন্ত্রী বিজান নামদার জাঙ্গানেহ, জাতীয় তেল কোম্পানির (এনআইওসি) ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং জাতীয় ট্যাংকার কোম্পানির (এনআইটিসি) প্রধানসহ মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এছাড়া, মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের মতে, ইরানের তেল খাত থেকে অর্জিত অর্থ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কার্যক্রমে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে, আইআরজিসি এবং হিজবুল্লাহ এই তহবিলের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করছে।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সম্পদ বা সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারবেন না। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে ইরানের তেল খাত এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

ইরানের তেলমন্ত্রী বিজান নামদার জাঙ্গানেহ এই নিষেধাজ্ঞাকে “নিরর্থক” এবং “প্রোপাগান্ডা” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “আমি কোনো সম্পদ বা বিদেশে কোনো লেনদেন করি না। আমার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।” ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কিছু দেশ এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছে, অন্যদিকে কিছু দেশ এই নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে এবং ইরানের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা ইরানের তেল খাত এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, ইরান এই নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা কঠিন। তবে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি