শুক্রবার, ৬ই জুন, ২০২৫| রাত ১০:০৩

আইএসআইএলের শিয়া মাজারে হামলার চক্রান্ত নস্যাৎ করলো সিরিয়া

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ১২, ২০২৫ ৩:১৭ অপরাহ্ণ
আইএসআইএলের শিয়া মাজারে হামলার চক্রান্ত নস্যাৎ করলো সিরিয়া

আইএসআইএলের শিয়া মাজারে হামলার চক্রান্ত নস্যাৎ করলো সিরিয়া

আইএসআইএল (আইএসআইএস) যোদ্ধাদের দামেস্কের শহরতলীতে একটি শিয়া মাজার উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ করে দিয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানা জানিয়েছে।

সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র সানাকে জানিয়েছে, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী আইএসআইএলের সাইয়িদা জয়নাব মাজারের ভেতরে বোমা হামলা চালানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে সফল হয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রোববার (১২ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এবং ভয়েস অব আমেরিকা জানিয়েছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা সিরিয়ার জেনারেল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের অজ্ঞাত এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, হামলার পরিকল্পনা করা আইএসআইএলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, গোয়েন্দা বিভাগটি “যে কোনও মতবাদের সিরীয় জনগণকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করার সকল প্রচেষ্টাকে মোকাবিলা করার জন্য তার সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করছে।”

আইএস এর আগেও শিয়া তীর্থযাত্রীদের ওপর সাইয়িদা জয়নাবে আক্রমণ চালিয়েছে। মূলত আইএস সুন্নি ইসলামের কট্টর ব্যাখ্যা দেয় এবং শিয়াদের কাফের মনে করে থাকে। ২০২৩ সালে শিয়াদের পবিত্র দিন আশুরার ঠিক একদিন আগে সাইয়েদা জয়নাবে মোটরসাইকেলে রাখা একটি বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হলে অন্তত ৬ জন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন।

এবার আক্রমণটি যে প্রতিহত করা হয়েছে, তা বাশার আল আসাদের সাবেক সরকারের সমর্থক ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিশ্চয়তা প্রদানের জন্যই করা হয়েছে। বাশার আল আসাদ শিয়া ধর্মাবলম্বী আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন এবং তিনি ইরানের পাশাপাশি লেবাননের সশস্ত্র শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইরান-সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতেন।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত
নির্বাচন কমিশনের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ল এক হাজার কোটি টাকা

নির্বাচন কমিশনের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ল এক হাজার কোটি টাকা

কর্মচারীদের সুবিধা বাড়াতে নতুন শর্ত আরোপ করেছে সরকার

কর্মচারীদের সুবিধা বাড়াতে নতুন শর্ত আরোপ করেছে সরকার

ভারতের সেনাপ্রধান: নির্বাচিত সরকার আসলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে

বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় অফিসে মারধরের অভিযোগ

স্বনির্ভর বাংলাদেশের নতুন বিজয়! সিলেট থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট, বিশ্ববাজারে নতুন ইতিহাস!

স্বনির্ভর বাংলাদেশের নতুন বিজয়! সিলেট থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট, বিশ্ববাজারে নতুন ইতিহাস!

ভিভো বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে নিয়োগ, এসএমটি ইঞ্জিনিয়ার পদে ৩ জন নেওয়া হবে

ভিভো বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে নিয়োগ, এসএমটি ইঞ্জিনিয়ার পদে ৩ জন নেওয়া হবে

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রোমাঞ্চকর রাত: একসঙ্গে মাঠে নামছে ৩৬ দল

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রোমাঞ্চকর রাত: একসঙ্গে মাঠে নামছে ৩৬ দল

কুয়ালালামপুরে ৭১ বাংলাদেশিসহ ১৭৬ বিদেশি গ্রেপ্তার: পুলিশের অভিযান

কুয়ালালামপুরে ৭১ বাংলাদেশিসহ ১৭৬ বিদেশি গ্রেপ্তার: পুলিশের অভিযান

আজকের নামাজের সময়সূচী

আজকের নামাজের সময়সূচী (৪ ডিসেম্বর, ২০২৪)

অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট: বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ গত বছরের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এক বছর পূর্ণ করতে চললেও দেশের অর্থনীতি এখনও স্থবিরতার মধ্যেই রয়েছে। মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থান সংকট, রফতানি হ্রাস ও রাজস্ব ঘাটতির মতো বহু সমস্যা সামনে রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বাজেট প্রস্তুতের আগে অর্থ মন্ত্রণালয় যে আটটি প্রধান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা, সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন এবং এলডিসি উত্তরণে প্রস্তুতি। অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনাও থাকছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা সামাল দিতে কেবল সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ না থাকায় দেশের শিল্প খাতেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানিতে এলসি খোলার হার ৩০ শতাংশ কমেছে। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ নেমে এসেছে ৪৮.৪১ শতাংশে এবং দেশে বর্তমানে বেকার সংখ্যা ২৭ লাখ ৩০ হাজার, যা এক বছরে বেড়েছে সোয়া তিন লাখ। বিদেশে কর্মী পাঠানোর হারও ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে আশার কথা হলো—রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে এবং মার্চ ও এপ্রিল মাসে তা রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছেছে। এদিকে বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে এনবিআর মাত্র ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে, ফলে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরকার নতুন খাতে কর আরোপ এবং কর ব্যবস্থার অটোমেশন চালুর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সরকারি ঋণের পরিমাণ এরইমধ্যে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেট বাস্তবায়নে আরও ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে সুদ পরিশোধেই ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তবে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে বাজেট ঘাটতি সীমিত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চাভিলাষী এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা। বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের মতে, বাজেটের আকার আরও ছোট ও বাস্তবসম্মত হলে তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হতো। সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, বাজেটের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বৈদেশিক বাণিজ্যেও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, ভারতের পণ্যে নিষেধাজ্ঞা এবং বৈশ্বিক বাজারের অস্থিরতায় রফতানি কমেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মতো সীমান্ত বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলোর কার্যকারিতা কমে গেছে। এছাড়া, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং চাঁদাবাজি ও সাইবার হুমকির কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমন অবস্থায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিনিয়োগ সুরক্ষায় ‘ফাস্ট-ট্র্যাক অভিযোগ নিষ্পত্তি’ এবং ‘ই-কমার্স নিরাপত্তা ইউনিট’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। এই সব বাস্তবতায় সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো একটি বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ তৈরি ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন, যার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে গতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

পরিবর্তিত সময়সূচিতে ৪৬তম বিসিএস লিখিত ও ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে