স্বনির্ভর বাংলাদেশের নতুন বিজয়! সিলেট থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট, বিশ্ববাজারে নতুন ইতিহাস!
বাংলাদেশ আর কারও মুখাপেক্ষী নয়—এবার নিজের শক্তিতেই এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস গড়লো দেশ।
সিলেটের আকাশে প্রথমবারের মতো উড়ল সরাসরি আন্তর্জাতিক কার্গো ফ্লাইট, আর সেই উড়াল দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে নিয়ে এলো এক নতুন সম্ভাবনার ভোর।
ঐতিহাসিক মুহূর্ত: সিলেট থেকে সরাসরি রপ্তানি
রোববার রাতে, ২৭ এপ্রিল, সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত।
প্রথমবারের মতো ৬০ টন গার্মেন্টস পণ্য সরাসরি স্পজারাগোজা শহরে রপ্তানি হলো সিলেট থেকে।
এই ঐতিহাসিক অভিযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসার, যিনি উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে জানান,
“এখন আর বাংলাদেশের অন্য কারও করুণা প্রয়োজন নেই। আমরা নিজের শক্তিতেই বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করবো।”রাষ্ট্রদূত আরও বলেন,
“আমাদের লক্ষ্য এখন ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসি। শুধু একতরফা রপ্তানি নয়—নিজেদের ব্যবস্থাপনায়, নিজেদের ফ্লাইটে পণ্য পৌঁছে দেবো বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে।সিলেটবাসীর জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা
দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রত্যাশা করে আসছিল সিলেটবাসী।
আজকের এই কার্গো ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে খুলে গেল সেই বহু প্রতীক্ষিত সম্ভাবনার জানালা।
বিশেষ করে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সিলেটের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য এটি এক বিশাল সুখবর।
দেশের অর্থনীতির এই মেরুদণ্ডরা এখন আরও সহজে, আরও দ্রুত দেশের সাথে সংযুক্ত থাকতে পারবেন।
রাষ্ট্রদূত আনসারী আশাবাদ ব্যক্ত করেন”শিগগিরই সিলেট থেকে প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুটি কার্গো ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।”
নতুন স্বপ্নের উড়াল
সিলেট থেকে শুরু হওয়া এই সরাসরি কার্গো ফ্লাইট শুধু একটি রুটের উদ্বোধন নয়—এটি বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের নতুন ঘোড়া ছুটানোর ঘোষণা।
দেশ আজ প্রমাণ করলো—আমরাও পারি, নিজের শক্তি ও সক্ষমতায় বিশ্ব দরবারে সম্মানের আসনে বসতে।
তবে প্রশ্ন থেকেই যএই অগ্রযাত্রা কি আমরা ধরে রাখতে পারবো?
আমরা কি পারবো, এই সম্ভাবনাকে পূর্ণতা দিতে?
উত্তর দেবে সময়।