রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে মার্কিনিদের উদ্বেগ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক নিয়ে মার্কিন জনগণের মধ্যে গুরুতর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রয়টার্স / ইপসোস জরিপ অনুযায়ী, ৫৬ শতাংশ মার্কিন নাগরিক বিশ্বাস করেন যে, ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক গভীর হয়েছে। এর বিপরীতে ৪০ শতাংশ নাগরিক এই অবস্থানের বিরোধিতা করেছেন এবং ৪ শতাংশ উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি আমূল পরিবর্তিত হয়েছে। মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক এতটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে যে, দেশটির স্নায়ুযুদ্ধকালীন প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়ার সাথে প্রকাশ্যে সখ্যতা গড়ে উঠেছে। বিশেষভাবে ট্রাম্পের রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-এর প্রতি বিশেষ প্রশংসা এবং সমর্থন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে। তাদের মধ্যে অনেকেই এই ঘনিষ্ঠতার দিকে ইতিবাচক চোখে দেখছেন না, এবং ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে ইউরোপীয় মিত্ররা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
ট্রাম্প ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে ইচ্ছুক। ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে রাশিয়ার সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করার ফলে কিছু মার্কিন মিত্ররা অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। বিশেষত, হোয়াইট হাউজে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি-কে জনসম্মুখে তুলোধুনো করার ঘটনায় এই উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও, তার সমর্থকরা ইউক্রেনের কাছে রাশিয়ার খনিজ সম্পদের ভাগ চাওয়ার সিদ্ধান্তটিকে যুক্তিসংগত মনে করছেন। ৪৪ শতাংশ মার্কিন নাগরিক এই দাবি সমর্থন করেছেন, যার মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ রিপাবলিকান এবং এক পঞ্চমাংশ ডেমোক্র্যাট রয়েছেন। তাদের মতে, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার বিনিময়ে খনিজ সম্পদ সংগ্রহ করা যুক্তিযুক্ত।
বিগত সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ৪৪ শতাংশে স্থির রয়েছে, যা তার প্রথম মেয়াদে অথবা সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলের চেয়ে বেশি। এটি ট্রাম্পের রাজনৈতিক দৃঢ়তা এবং সমর্থকদের অনুগত মনোভাবের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বিরোধী পক্ষের উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে, এবং এটি ট্রাম্পের ভবিষ্যত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে।