সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, এই হামলার লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের একটি কমান্ড সেন্টার, যা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা ও পরিকল্পনার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে বিস্ফোরণ ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। সিরিয়ার নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল একজন ফিলিস্তিনি ব্যক্তি, তবে হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য তখনো পাওয়া যায়নি।
এর আগে, ইসরায়েল সিরিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর নগরী তারতুসে বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি কোনো সীমান্ত সংযোগ নেই। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানার বরাত দিয়ে জানা যায়, ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে যে, তারা সিরিয়ার একটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যেখানে পূর্ববর্তী সিরীয় সরকারের অস্ত্র মজুত ছিল, যা শত্রুপক্ষের হাতে পড়তে পারে।
ইসরায়েলের এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাগুলোর সমালোচনা করেছেন এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া, ইসরায়েল আয়ারল্যান্ডের ‘ইসরায়েলবিরোধী নীতি’র কারণে ডাবলিনে তাদের দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সমালোচনা করেছেন।
সিরিয়ার সরকার এই হামলাগুলোকে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইসরায়েলের এই ধরনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে, সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংঘাত এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তাদের প্রতিক্রিয়া সীমিত থেকে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। এই ধরনের হামলা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই পরিস্থিতিতে সংযম প্রদর্শন এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।