ওজন কমাতে ক্ষুধা দমনকারী কার্যকরী খাবার
ওজন কমানোর পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হলো হঠাৎ করে ক্ষুধার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। দিনের যেকোনো সময় – সকালের মাঝামাঝি, দুপুরের পর, কিংবা রাত গভীরে – হঠাৎ ক্ষুধা লাগতে পারে, যা অনেক সময় পরিকল্পিত খাদ্যতালিকাকেও বিঘ্নিত করে। তবে ক্ষুধাকে উপেক্ষা না করে যদি এমন কিছু খাবার বেছে নেওয়া যায় যেগুলো দীর্ঘসময় পেট ভরিয়ে রাখে, তবে ওজন কমানো অনেক সহজ হতে পারে।
ফিটনেস কোচ ড্যান গো সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এমন কিছু খাবারের তালিকা শেয়ার করেছেন, যেগুলো ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ওজন কমাতে সহায়তা করে এবং টেকসই শক্তি জোগায়। এই খাবারগুলো শুধু তৃপ্তিই দেয় না, স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
আপেল:
প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার কথা যেমন বলা হয় ‘ডাক্তারকে দূরে রাখতে’, তেমনি এটি ক্ষুধাও দূরে রাখতে পারে। আপেলে রয়েছে প্রচুর পানি এবং পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার, যা হজম ধীর করে এবং পেট ভরার অনুভূতি বাড়ায়। চিবানোর সময় মস্তিষ্কে তৃপ্তির সংকেত পৌঁছায়, ফলে মানসিকভাবেও ক্ষুধা কমে যায়। কম ক্যালোরি, উচ্চ ফাইবার এবং হাইড্রেশন—এই তিনটি উপাদান একসঙ্গে ক্ষুধা দমনে সহায়ক।
ব্লুবেরি:
আকারে ছোট হলেও ব্লুবেরির পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এতে ফাইবার এবং পানি থাকে বেশি, যা স্ন্যাকস বা খাবারকে ক্যালোরি বাড়ানো ছাড়াই আরও তৃপ্তিকর করে তোলে। ব্লুবেরির গ্লাইসেমিক সূচক কম, তাই এটি রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়ায় না। এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতে ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা ক্ষুধা কমাতে সহায়তা করে।
আলু:
অনেকেই আলুকে উচ্চ কার্ব বলে এড়িয়ে চলেন, কিন্তু সেদ্ধ করে এবং পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে আলু ক্ষুধা দমনে দারুণ কার্যকর। ‘স্যাটাইটি ইনডেক্স’ অনুযায়ী সেদ্ধ আলু সবচেয়ে বেশি পেট ভরানোর ক্ষমতা রাখে। এতে প্রতিরোধী স্টার্চ ও পানি থাকে বেশি এবং ক্যালোরি কম, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজমশক্তি উন্নত করে। ঠান্ডা সেদ্ধ আলুতে প্রতিরোধী স্টার্চ আরও বেশি থাকে, যা হজমে সহায়ক এবং দীর্ঘ সময় ক্ষুধা দূরে রাখে।