ভারতের ৪ কোম্পানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, ইরানের সঙ্গে ব্যবসায় চাপ বাড়ছে
ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনের অভিযোগে চারটি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ থেকে দেওয়া এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়। তেহরানের তেল ব্যবসার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের লাগাতার কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবেই নতুন এই নিষেধাজ্ঞা।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় (ওএফএসি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অস্টিনশিপ ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড, বিএসএম মেরিন এলএলপি, কসমস লাইনস ইনক এবং ফ্লাক্স মেরিটাইম এলএলপি নামের চারটি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইরানের নিষিদ্ধ পেট্রোলিয়াম পণ্য পরিবহনে সহায়তা করছে এবং নিষেধাজ্ঞা এড়াতে বিভিন্ন চক্রের সঙ্গে কাজ করছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব কোম্পানির আন্তর্জাতিক লেনদেন, সম্পদ হস্তান্তর এবং বৈশ্বিক বাজারে কার্যক্রম পরিচালনায় বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি হবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানও এসব কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপত্তা স্মারক জারি করে ইরানের ওপর আরও কঠোর চাপ প্রয়োগের নির্দেশ দেন। তার পরপরই ইরানের তেল রপ্তানির ওপর দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও হংকংসহ একাধিক দেশের ৩০ জন ব্যক্তি ও বেশ কিছু জাহাজকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘ইরান তার তেল বিক্রি ও অর্থায়নের জন্য জাহাজ, শিপিং কোম্পানি এবং ব্রোকারদের মাধ্যমে একটি ছায়া নেটওয়ার্ক চালাচ্ছে। আমরা এই নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে বদ্ধপরিকর।’
এছাড়া, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ভারত, ইরান, মালয়েশিয়া, সেশেলস এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক আটটি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে, যারা ইরানের তেল বাণিজ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের তেল রপ্তানি ও অর্থনীতি মারাত্মক চাপে পড়বে এবং ভারতসহ অন্যান্য দেশগুলোর জন্যও ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।