সোমবার, ১০ই মার্চ, ২০২৫| বিকাল ৫:১০

আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ নেতাদের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা তরুণী

প্রতিবেদক
staffreporter
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ ২:২৫ অপরাহ্ণ
আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ নেতাদের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা তরুণী

আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ নেতাদের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা তরুণী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ নেতাদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার এক তরুণী বিচার না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত ছবি ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীতে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আনেন তিনি।

তিনি জানান, গত ৪ আগস্ট সকালে চাষাঢ়া গোলচত্বর থেকে ছাত্রলীগের প্রায় ২০-২৫ জন নেতা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। মারধর করতে করতে তারা তাকে তোলারাম কলেজের পাশে তাদের একটি অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়, গালিগালাজ করা হয়, হুমকি দেওয়া হয়। পরে সবাই অফিস থেকে বেরিয়ে গেলে দুইজন তার ওপর নির্যাতন চালায়।

ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, আন্দোলনের সমন্বয়কসহ প্রায় সবাই তার ঘটনা জানলেও কেউ তাকে ন্যায্য বিচার পাইয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি। তিনি জানান, সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বিষয়টি শুনে দুঃখ প্রকাশ করলেও পরে আর কোনো ব্যবস্থা নেননি। অন্য এক সমন্বয়ক নুসরাত তাবাচ্ছুম তাকে হোয়াটসঅ্যাপে নক দিতে বলেন, কিন্তু পরে কোনো উত্তর দেননি।

তার ভাষ্য অনুযায়ী, সমন্বয়ক সারজিস প্রথম থেকেই ঘটনা জানতেন এবং প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে শাস্তির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে পরে কোনো উদ্যোগ নেননি।

ওই শিক্ষার্থী জানান, গত ১০ নভেম্বর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন এবং ৩১ ডিসেম্বর তার গর্ভপাত হয়।

এ ঘটনায় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাচ্ছুম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাবি করেছেন, ওই ছাত্রীকে সব রকম সাহায্য দিতে চাওয়া হয়েছিল। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা, তদন্ত ও মামলার ব্যবস্থা করার কথা বলা হলেও তিনি নিজেই ভিন্ন কিছু চেয়েছিলেন, যা অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও সামাজিক আন্দোলনকর্মী মহিউদ্দিন রনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “৬ মাস পর, জনতার জন্য ক্ষমতা নাকি ক্ষমতার জন্য জনতা—এই প্রশ্নগুলো বারবার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। আর কত প্রাণ দিতে হবে বিচার পাওয়ার জন্য?”

তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, “রাজনৈতিক দলগুলো যখন ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসে, তখন কি এই ধর্ষণের বিচারের দাবি তুলে? কেউ কি বলে না জনতা শহীদ, গাজীদের জন্য বিচার চায়, এই বোনের ধর্ষকদের বিচার চায়?”

এ ঘটনায় এখনো কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা বা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ