সোমবার, ৯ই জুন, ২০২৫| সন্ধ্যা ৭:৩৮

টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠি নিয়ে বিতর্ক, সরকার বলছে কিছুই পায়নি

প্রতিবেদক
staffreporter
জুন ৯, ২০২৫ ১:২৫ অপরাহ্ণ
টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠি নিয়ে বিতর্ক, সরকার বলছে কিছুই পায়নি

টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠি নিয়ে বিতর্ক, সরকার বলছে কিছুই পায়নি

ফ্যাসিস্ট হাসিনা হিসেবে সমালোচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক কর্তৃক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠি ঘিরে দেশি-বিদেশি মহলে তুমুল আলোচনা চলছে। তবে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, তারা এখনো ওই চিঠির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি।

রোববার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “সরকার এখনো এ ধরনের কোনো চিঠি পায়নি। আমরা এমন কিছু নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না যা আমরা দেখিনি।” এই বক্তব্যে চিঠির বিষয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, চিঠিটি যদি সত্যিই পাঠানো হয়ে থাকে, তবে সেটি এখনো সরকারের কাছে পৌঁছায়নি কেন?

চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান সহ একাধিক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, যেখানে বলা হয়—টিউলিপ সিদ্দিক ড. ইউনূসের আসন্ন লন্ডন সফরে তাঁর সঙ্গে হাউস অব কমন্সে মধ্যাহ্নভোজ বা বিকেলের চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ৪ জুন ২০২৫ তারিখে লেখা ওই চিঠিতে তিনি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগ নিয়ে “ভুল বোঝাবুঝি” দূর করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

চিঠিতে টিউলিপ বলেন, “এই সাক্ষাৎ, হয়তো সেই ভুল বোঝাবুঝি দূর করতেও সহায়ক হতে পারে, যা ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশন দ্বারা ছড়ানো হয়েছে যে, আমার খালা সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কাছে তাঁদের জানার কিছু আছে।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চান যে, শেখ হাসিনার ব্যাপারে তাঁর ওপর চাপ প্রয়োগ কিংবা জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনার যে ধারণা সৃষ্টি হয়েছে, তা সঠিক নয় এবং এমন ভুল ধারণা যেন তাঁর ব্রিটিশ সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনে কোনোভাবে বিঘ্ন না ঘটায়।

উল্লেখ্য, আগামীকাল সোমবার (৯ জুন) ড. ইউনূসের লন্ডন সফর শুরু হচ্ছে। এই সফরে তাঁর রাজা চার্লস ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়্যার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। টিউলিপের এই চিঠি সেই সফরকে ঘিরেই আলোচনার সূত্রপাত করেছে।

এখন নজর থাকছে দুই দিকেই—সরকারিভাবে চিঠিটি আদৌ গ্রহণ করা হয় কি না, এবং ড. ইউনূস ওই আমন্ত্রণে কী সাড়া দেন। একই সঙ্গে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, বিদেশি প্রভাবশালী রাজনীতিকদের এমন ব্যস্ত আগ্রহের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কতটা, আর কূটনৈতিক প্রভাব কতটা গভীর।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি